পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫৪
আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী

মধ্যম কল্পের, কেহ বা হীনবুদ্ধি (dull)। শিক্ষক ক্লাশে এক ঘণ্টায় (official তিন কোয়ার্টার) এই সমস্ত ছাত্র লইয়া মাত্র একটি প্রশ্নের সমাধান, কি একটি প্যারার ব্যাখ্যা করিতে পারেন, কিন্তু প্রকৃত প্রতিভাশালী ছাত্র সেই সময়ের মধ্যে তাহার দশগুণ পাঠ আয়ত্ত করিতে পারে।

 এইজন্য অনেক সময় দেখা যায় পাঠ্য পুস্তকে নির্দ্ধারিত বিদ্যাশিক্ষা অনেকের পক্ষে প্রকৃত জ্ঞান লাভের অন্তরায় হইয়া দাঁড়ায়। তা ছাড়া আজকাল ভূগোল কি ইতিহাস একেবারে বাদ দিলেও পরীক্ষা পাশের কোন ব্যাঘাত ঘটে না। আমি দুই বৎসর হইল “দেশে” গিয়া আমার বসিবার ঘরে ইউরোপের একখানি মানচিত্র টাঙ্গাইয়া রাখিয়াছিলাম এবং কয়েক জন আই, এ, বি, এ, পরীক্ষার্থী ছেলেদের যুদ্ধক্ষেত্রের স্থান নির্দ্দেশ করিতে বলিলাম; তাহারা অন্ধের ন্যায় হাতড়াইতে লাগিল। এক এক জন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিধারী এই সকল বিষয়ে এত অজ্ঞ যে দেখিলে দুঃখ হয়। যাঁহারা ভাল ভাল ইংরেজী সংবাদপত্র পাঠ করেন তাঁহারা নানা বিষয়ে এত জ্ঞান অর্জ্জন করিতে পারেন যে নির্দ্ধারিত পাঠ্য পুস্তক পাঠ করিয়া তাহা অসম্ভব। এই জন্য মহানুভব কব্‌ডেন একবার পার্লামেণ্টে বলিয়াছিলেন যে এক কপি টাইম্‌স্‌ পড়িলে এত বিষয় জানা যায় যে সমগ্র গ্রীক ইতিহাস পড়িলেও তাহা কোন কালেই হয় না। যদি কোন শিক্ষিত লোককে আমি জিজ্ঞাসা করি যে আজকাল যুদ্ধের অবস্থা কিরূপ, আর তিনি যদি তাহা আমাকে বুঝাইতে অক্ষম হন, আমি বলিব, তাহার বিদ্যাশিক্ষা পণ্ড হইয়াছে।

 সেইরূপ প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্যরক্ষা ও নিজের দেশের ইতিহাস সম্বন্ধে কিছু কিছু জ্ঞান থাকা আবশ্যক। ইতিহাস অর্থে কেবল কতকগুলি