১৸৹
খাদি প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁহার যথাসর্ব্বস্ব দান করিয়া দেশের কাজে উৎসর্গ করিয়াছেন। সমস্ত ভারতবাসী তাঁহার স্বার্থত্যাগের কথা শুনিয়া বিস্মিত হইয়াছে।
জাতীয় শিক্ষায় আচার্য্য রায়ের বিশ্বাস আছে। বাংলা ভাষার মধ্য দিয়া শিক্ষা দিবার তিনি বিশেষ পক্ষপাতী। জাতীয় শিক্ষার পক্ষপাতী বলিয়া, স্যর আশুতোষ চৌধুরীর মৃত্যুর পর, তাঁহাকেই “জাতীয় শিক্ষা পরিষদের” (National Council of Education) সভাপতি করা হইয়াছে। তাঁহারই উৎসাহ ও চেষ্টায় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ নূতন কর্ম্মক্ষেত্রে উন্নতির পথে অগ্রসর হইতেছে। এই কারণে ১৯২৩ সালে আলিগড় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাধিদান সভায় তাঁহাকে আহ্বান করেন। এই উপলক্ষে তিনি যে বক্তৃতা দিয়াছিলেন তাহা সকলের দৃষ্টিই আকর্ষণ করিয়াছিল।
প্রথম জীবনে আচার্য্য রায় রাজনীতি হইতে দূরে থাকিতেন। অসহযোগ আন্দোলন আরম্ভ হইবার পূর্ব্বেও তিনি রাজনীতি ক্ষেত্রে যোগ দেন নাই। খুলনা দুর্ভিক্ষের পর হইতে তিনি চরকার কার্য্যকারিতায় বিশ্বাস করিয়া—চরকা ও খদ্দর প্রচারের ভার গ্রহণ করিলেন। এই সময় হইতে তিনি রাজনীতি ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন এবং রাজ-নৈতিক হিসাবে উৎকল, কোকনদ ও অন্যান্য স্থান হইতে তাঁহার নিমন্ত্রণ আসিতে লাগিল। এই উপলক্ষে দেশপ্রাণ প্রফুল্লচন্দ্র এখন ভারতময় ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন।