কিন্তু তা ত নয়—এর পিছনে মান্দ্রাজীদের জ্ঞানের আদর ও পাঠের তৃষ্ণা বর্ত্তমান। তাই তিনি নিজের রোজগারেই মোটর কিনেছেন। আমাদের বাঙ্গলাদেশে Text book ছাত্রপাঠ্য বই না ছাপালে দোকান উঠে যায়; কিন্তু নটেশন্ Text book বা ছাত্রপাঠ্য বই ছাপান না। তাঁরা বাংলা তথা ভারতবর্ষের চিন্তাশীল পণ্ডিতগণের বক্তৃতা ছাপান,; রাজনীতি, সমাজতত্ত্ব, মনস্বীগণের সংক্ষিপ্ত জীবনী, প্রভৃতি নানাপ্রকারের পুস্তক প্রকাশিত করেন। এই কাজে ব্যবসায়ী যে শুধু লাভবান হন, তা নয়, সৎপুস্তক প্রকাশ ক’রে দেশের একটা অভাবও দূর করেন। তাই বলতে হয় সেখানে জ্ঞানতৃষ্ণা বেশী। কলিকাতার বড় পুস্তকবিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা ক’রে জানা যায় “People’s Library” প্রভৃতি সংস্করণের অল্প মূল্যের বই মান্দ্রাজীরা বেশী কেনেন, বাঙ্গালী বড় একটা কেনেন না। বাংলাদেশে “টেক্ষ্ট বুক কমিটি”র—অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক না হ’লে আর বই উদ্ধারের উপায় নেই। এখানে রসায়ন-সম্বন্ধে ক্ষুদ্র পুস্তকের আদর হয় না। কারণ তার জন্যে “ল্যাবোরেটরী” চাই। কিন্তু ছেলেদের চিড়িয়াখানায় নিয়ে গেলে জীব জন্তু সম্বন্ধে কৌতূহল হ’তে পারে এই ভেবে একখানা ছোট “প্রাণীবিজ্ঞান” লিখেছিলাম। কিন্তু বইখানা কয়েক বৎসর পড়ে রইলো, কাট্তি হ’লো না। কিছুকাল পরে জানি না কেন, সেখানা টেক্ষ্ট বুক কমিটি’র (Text Book Commitee) অনুমোদিত হ’য়ে গেল। একজন ইন্স্পেক্টার পূর্ব্ব বাংলার একটা অঞ্চলের জন্য সেখানা পাঠ্যপুস্তকরূপে নির্দ্দিষ্ট ক’রে দিলেন; ব্যস্, এক নিশ্বাসে সব বই বিক্রী হয়ে গেল।
বিজ্ঞান কলেজের জন্য স্যর্ তারকনাথ ও স্যর্ রাসবিহারী পঁচিশ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। দুটি ল্যাবোরেটরীর প্রত্যেকটিতে ২০ জন