পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৬ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবন ছাত্রের জন্য বছরে ৫০ হাজার টাকা খরচ করা হয়, অর্থাৎ মাথাপিছু ২৫০০ টাকার উপর ব্যয় হচ্ছে। তবু কি ব্যাপার! প্রকৃত জ্ঞানন্বেষী কজন পাই ? অনেক সময় কঁদিতে হয়। এখন ক্রমশঃ হাওয়া ফিরছে। তবে কোকিল একবার ডাক্লেই যে বসন্ত সমাগত হয় এমন ভাবলে চলে না। সে বসন্তের অগ্রদূত মাত্র। লওন, প্যার প্রভৃতি স্থানের Chemical Journalএ অর্থাং রসায়নসম্বন্ধীয় সাময়িক পত্রিকায় প্রত্যেক বাবুে বর্ণমালা অহুসারে হাজার দু-হাজার রাসায়নিকের নাম থাকে। তার অস্তুতঃ ৫০০ জন রসায়ন সম্বন্ধে মৌলিক গবেষণা করেন। জার্ম্মানীতে ৫০ ০০, ইংলণ্ড আমেরিকায় কয়েক হাজার, এবং সমস্ত যুরোপে অন্ততঃ ১০,০০০ রাসায়নিক প্রতিদিন মৌলিক গবেষণা করেন। আর আমরা ? এই কবির কথায় বিংশতি কোটী—এখন ত্রিশকোটি মানুষ, আমরা কি করছি ? আমাদের গর্বের কিছু নেই। আমায় সভাপতি হবার জন্য টানাটানি করেন ; আজ সমাজ সংস্কারের আলোচনা, কাল পাটেল বিল ; কিন্তু এক মুগী কবার জবাই হয় ? অন্ততঃ ত্রিশ কোটির মধ্যে ত্রিশ জন ( chemist ) রাসায়নিক হোক, তবে ত নিস্কৃতি , নইলে বিশ্রাম কোথায় ? শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় লগুনে পাঠাগারের প্রচলন দেখে অবাক হয়েছিলেন— “আমি গিয়া দেখিলাম শিক্ষিত দেশহিতৈষী ব্যক্তিদিগের মনে নিয়শ্রেণীর মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের উৎসাহ অতিশয় প্রবল তাহার ফলস্বরূপ ঐ শ্রেণীর মানুষের মনে জ্ঞানস্পৃহা দিন দিন বাড়িতেছে এবং ব্যবহারের জন্ত চারিদিকে অসংখ্য ছোট ছোট পুস্তকালয় স্থাপিত হইয়াছে। । প্রায় প্রত্যেক রাজপথে দুই-দশখানি বাড়ীর পরেই একটি ক্ষুদ্র পুস্তকালয় ; , নিম্নশ্রেণীর মানুষের সেখানে নামমাত্র কিছু পয়সা জমা দিয়া সপ্তাহে সপ্তাহে বই লইয়। যাইতেছে ও ঘরে