পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠাগার ও প্রকৃত শিক্ষা ২৬৭ গিয়া বসিয়া পতিয়া—সে পুস্তক আবার ফিরাইয়া দিতেছে। ইহার অনেক পুস্তকালয় দোকানঘরের মধ্যে। দোকানদার অপরাপর ঞ্জিনিসের ব্যবসা করিতেছে, সেই সঙ্গে একপাশে একটি পুস্তকালয় রাখিয়া কিছু উপার্জন করিতেছে । ইহা ভিন্ন স্বল্পমূল্যে বিক্রেয় ব্যবহৃত পুস্তকের দোকান অগণ্য। এইরূপ একটি পুস্তকালয়বিশিষ্ট দোকানে, গিয়া একদিন যাহা দেখিলাম ও শুনিলাম তাহা মনে রহিয়াছে। আমি দোকানে অন্য কাজে গিয়া দেখি, একপাশ্বে দুইটি আলমারিতে পুস্তক রহিয়াছে মনে করিলাম পুস্তকগুলি স্বল্পমূল্যের ব্যবহৃত পুস্তক। জিজ্ঞাসা করিলাম—এসব পুস্তক কি বিক্রয়ের জন্য ? 數 উত্তর—না, একটা সাকুলেটিং লাইব্রেরী। আমি-এ সব পুস্তক কাবু লয়? উত্তর—এই পাড়ার নিম্নশ্রেণীর লোকেরা । আমি-আমি কি বই লইতে পারি ? উত্তর-ই পারেন, এ ত সাধারণের জন্য । মতারপর আমি একখানি ৬৭ টাকা দামের বই লইয়া দুই আন পয়সা জমা দিয়া ও আমার নাম ও বাড়ীর ঠিকানা রাখিয়া আসিলাম । ” আবার সপ্তাহান্তে বই ফেরৎ দিয়া আবার দুই আনা দিয়া আর একখানি বুই লইয়া আসিলাম। এইরূপ তিন চারি সপ্তাহের পর একদিন গিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, এ ব্যবসা তোমরা কম্ভদিন চালাইতেছ ? উত্তর-গত ৮৯ বৎসর। আমি—মধ্যে মধ্যে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হও না ? উত্তর—কিরূপে ?