গভর্ণর জেনারেল্ লর্ড আমহার্ষ্ট্কে দেন। সে চিঠির ইংরেজী রচনা এত উৎকৃষ্ট হয়েছিল যে তাঁর মৃত্যুর পর সেটি প্রকাশিত হয়,—এশিয়াবাসীর লিখিত ব’লে তার উল্লেখ করে বিশপ্ হিবার বলেছিলেন “Real curiosity অর্থাৎ বিস্ময়ের বস্তু।” তাই বলি যাঁরা প্রতিভাশালী তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধার ধারেন না—নিজের শিক্ষার ভার তাঁরা নিজের উপরেই রাখেন। যদি বল Dr. Ray, D.Sc. তবে বুঝ্তে হয় এই যে তাঁর ১৮৮৫ বা ৮৭ সালের ডিগ্রীর কথা হচ্ছে। তার পর ৩৫ বৎসর ধ’রে তিনি রসায়ন বা অন্য কোনো শাস্ত্র সম্বন্ধে যে গবেষণা করলেন, D. Sc., বল্লে সেটাত স্বীকার করা হয় না। সুতরাং ডিগ্রীটা কিছু নয়,—ওটা অনেক সময় অজ্ঞতার আবরণ মাত্র। অনেকে অমুক সালে দর্শন শাস্ত্রে পরীক্ষা দিয়ে সুবর্ণ পদক পেয়েছি ব’লে গর্ব করেন; এদিকে হয়ত পরীক্ষার পর পড়া ছেড়েছেন ব’লে হ্যামিল্টন ও রীডের মত ছাড়া নূতন দার্শনিক তত্ত্বের খোঁজ রাখেন না। অনেক ডাক্তার বাবু ১৮৭২ সালের অর্জ্জিত জ্ঞান অনুসারে রোগীর প্রেস্কিপ্সন্ লেখেন। সে কালের মতের খণ্ডন হয়ে কত নূতন মত প্রচলিত হয়েছে তার খবরই রাখেন না। আলোচনা না কর্লে অজ্ঞতা এইরূপই দাঁড়ায়। কিন্তু ইংলণ্ড, আমেরিকায় লোক এত ডিগ্রী চায় না। তারা চায় প্রকৃত শিক্ষা।
আমাদের দেশে একে ত লাইব্রেরীর অভাব, তারপর লাইব্রেরী যেখানে আছে সেখানে পাঠকের অভাব। সাময়িক পত্রে এখন, চুট্কী গল্পই বেশী। এতে পাঠকের রুচি বিকৃত হ’য়ে যায়। তাঁরা আর কঠিন ভাবপূর্ণ বিষয় পড়তে পারেন না, ঐ চানাচুর, সাড়ে আঠার ভাজাতেই মস্গুল্ হ’য়ে থাকেন। কিন্তু চাই ভাল জিনিষ। উৎকৃষ্ট বিষয়ের অনুশীলন কর্তে লোকের যাতে প্রবৃত্তি ও রুচি জন্মে—তারই