পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠাগার ও প্রকৃত শিক্ষা ২৬৯ গভর্ণর জেনারেল লর্ড আমহাষ্টকে দেন। সে চিঠির ইংরেজী রচনা এত, উৎকৃষ্ট হয়েছিল যে তার মৃত্যুর পর সেটি প্রকাশিত হয়,— এশিয়াবাসীর লিখিত ব'লে তার উল্লেখ করে বিশপ, হিবার বলেছিলেন *Real curiosity অর্থাং বিস্ময়ের বস্তু।” তাই বলি যার প্রতিভাশালী তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধার ধারেন না—নিজের শিক্ষার ভার তারা নিজের উপরেই রাখেন । যদি বল Dr. Ray, D. Sc. তবে বুৰ্বতে হয়, এই যে তার ১৮৮৫ বা ৮৭ সালের ডিগ্রীর কথা হচ্ছে। তার পর ৩৫ বৎসর ধ’রে তিনি রসায়ন বা অন্য কোনো শাস্ত্র সম্বন্ধে যে গবেষণা করলেন, D. Sc. বললে সেটাত স্বীকার করা হয় না . সুতরাং ডিগ্রীটা কিছু নয়,—ওটা অনেক সময় অজ্ঞতার আবরণ মাত্র। অনেকে অমুক সালে দর্শন শাস্ত্রে পরীক্ষা দিয়ে সুবর্ণ পদক পেয়েছি ব’লে গর্ব্ব করেন ; এদিকে হয়ত পরীক্ষার পর পড়া ছেড়েছেন বলৈ হামিণ্টন ও রীডের মত ছাড়া নূতন দার্শনিক তত্বের খোজ রাখেন না । অনেক ডাক্তার বাবু ১৮৭২ সালের অর্জিত জ্ঞান অনুসারে রোগীর প্রেস্কি পৃসন লেখেন। সে কালের মতের খণ্ডন হয়ে কত নূতন মত প্রচলিত হয়েছে তার খবরই রাখেন না। আলোচনা না করলে অজ্ঞতু এইরূপই দাড়ায়। কিন্তু ইংলও, আমেরিকায় লোক এত ডিগ্রী চায় না । তার চায় প্রকৃত শিক্ষণ । আমাদের দেশে একে ত লাইব্রেরীর অভাব, তারপর লাইব্রেরী যেখানে আছে সখানে পাঠকের অভাব। সাময়িক পত্রে এখন, চুটুকী গল্পই বেশী। এতে পাঠকের রুচি বিকৃত হয়ে যায়। তারা আর কঠিন ভাবপূর্ণ বিষয় পড়তে পারেন না, ঐ চানাচুর, स्थाहरू আঠার ভাজাতেই মস্গুল হয়ে থাকেন। কিন্তু চাই ভাল জিনিষ। উৎকৃষ্ট বিষয়ের অনুশীলন করতে লোকের যাতে প্রবৃত্তি ও রুচি জন্মে—তারই