খাবার সময়, উৎসাহের সময় কখনও নয়। যুবকেরা আমার সঙ্গে কাজে পাল্লা দিতে পারে না। আমি ৯টা থেকে ৪টা পর্য্যন্ত ল্যাবোরেটারীতে খাটি। আমি তাদের সমকক্ষ, জুড়িদার। কিন্তু মুস্কিল ত এইখানে। যাঁরা অন্বেষণের জন্য ১০০ টাকা বৃত্তি পাচ্ছেন—এদেশে এক-শ’ অর্থাৎ ইংলণ্ডে পাঁচ-শ’—প্রথম বয়সে নবীন উৎসাহে তাঁদের ত আরও বেশী পরিশ্রম করা উচিত। আর যে ছাত্রদের প্রত্যেকের জন্যে সায়ান্স কলেজে বার্ষিক দুহাজার বেশী ব্যয় করা হয় তাঁরাই বা কি করেন? বিশেষ ভাবে বিজ্ঞান অনুশীলন কর্বার উৎসাহ ও যোগ্যতা অনেকের মধ্যে ত দেখ্তে পাই না; দু-একটির মধ্যে কদাচিৎ পাওয়া যায়।
কিন্তু যারা বিশেষ অনুশীলনে ব্যস্ত অর্থাৎ যাঁরা বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন তাঁদের দেখে, সময় সময় আমার ভয় হয়। ঘোড়া যেমন চলে তাঁরা নিজের বুদ্ধিটাকে ঠিক তেমনি একরোকে চালান, দুনিয়ায় আর কোন দিকে চেয়ে দেখেন না। চর্ম্মকারের কাছে যেমন Nothing like leather অর্থাৎ দুনিয়ায় চাম্ড়াই সার বস্তু, ময়রার কাছে যেমন ঘি আর চিনি, বিশেষজ্ঞের নিকট তেম্নি তার Special subject, বিশেষ বিষয়টি Vibration of the Violin string বেহালার তারের অনুসরণ বা অন্য কিছু। (সভায় সায়ান্স কলেজের অন্যতম অধ্যাপক মিঃ রমণ উপস্থিত ছিলেন।) আমার এক ছাত্র আছেন; তাঁর খ্যাতি য়ুরোপে পৌঁছেচে। তিনি একজন এই রকম বিশেষজ্ঞ, একজন D. Sc.। একদিন ছাত্র পরিবেষ্টিত হ’য়ে ব’সে তাঁকে বল্লাম, “আমার ত বয়স হ’ল। B. C. P. W. অর্থাৎ বেঙ্গল কেমিক্যাল আমার মেয়ে আর ছাত্রেরা আমার ছেলে। এখন বুড়া বয়সে দেখ্চি আমার King Lear রাজা লীয়ারের দশা হবে। কেউ কর্ডেলিয়া