পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৬ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী বমি। পরীক্ষার পরই সরস্বতীর সঙ্গে সকল সম্বন্ধ লোপ। আর পাশ হ’লে ‘হকার চাচার দোকানে পুস্তক বিসর্জন । মনে পড়ে ছেলে-বেলায় জর হত, আর কেবল মিছর, বেদান ও কুইনীন খেতে হত। বাল্যজর মনে করিয়ে দেয় ব’লে ঐজিনিসগুলোয় আমায় একটা ভয়ানক বিতৃষ্ণ আছে-ও-গুলো আমার কাছে বিভীষিক ! পাশকবৃবার পর এদেশের ছাত্রদের পুস্তকের উপর ঠিক্‌ ঐ রকমই তীব্র বিতৃষ্ণ হয়—বইগুলো তাদের কাছে আতঙ্ক উপস্থিত করে। পুস্তককে আজীবন সঙ্গী করতে হবে, কিন্তু আশ্চর্য্য এই যে পরীক্ষার পর বই আর পাবার জো নাই ! শিবনাথ শস্ত্রী মহাশয় একবার কোন ছাত্রকে বলেছিলেন র্যাকীর “সেলফকালচার” বইখানা দাও ত । সে জবাব দিলে সে বই তালা বন্ধ, দেখলে ভয় হয় । এ বড় দুঃখের কথা । সংপু ককৈ আজীবন সহচর করতে হবে, আজীবন ধ’রে সংপুস্তক পাঠে ভাব সংগ্রহ করতে হবে, হৃদয়ে উদ্দীপনা জাগিয়ে রাখতে হবে এবং প্রকৃত জ্ঞানের অনুশীলন করতে হবে। ইংরেজ কবি সাদি পুস্তককে লক্ষ্য করে যথার্থই বলেছেন— “The mighty minds of old " 華 嫌 擊 肇 “My never-failing friends are they.” পুস্তক পাঠের উদ্দেশ্য সফল করতে হ’লে খুব বেশী বই পড়বার দরকার হয় না। অনেকে যা পায় তাই পড়ে, পরিণত বয়সেও তাদের এই অত্যাস থেকে যায়। তারা কখনও পুস্তক নির্ব্বাচন করে পড়ে না। ছুটী পেলে তারা অনেক রকমে অনেক পয়সা ব্যয় করবে। বেড়াবার সখ মেটাবার জন্তে দামী পোষাক, ট্রাঙ্ক, গ্লড্‌ষ্টোন-ব্যাগ কিনবে, কিন্তু ছুটীতে পড়বার জন্তে কি বই সঙ্গে নিয়ে যাবে কখনই তার কিছু স্থির