কর্বে না। হাতে যা পাবে তাই পড়বে, কিছু বিচার করবে না। রায়রনের পদ্য থেকে এমার্সন বলেন “He knew not what to say, and so he swore”। প্রথম মনে হ’ল কি পড়্ব? খবরের কাগজখানা তুলে নিলাম, আগে খবর পড়্লাম, তার পর অন্য কথা পড়া হ’ল, শেষ বিজ্ঞাপনস্তম্ভ পর্য্যন্ত নিঃশেষ করা গেল। কি পাওয়া গেল, কি বোঝা গেল, তার কোন চিন্তাই করলাম না। কিন্তু এরকম ঠিক্ নয়, উদ্দেশ্যবিহীন পাঠ কোনমতেই ঠিক নয়। সবার আগে পড়্বার উদ্দেশ্য খুব ভাল ক’রে বুঝ্তে হবে, তারপর রুচি অনুসারে পুস্তক নির্ব্বাচন কর্তে হবে, কারণ সকলের সব বই ভাল লাগে না, কিন্তু একটা উদ্দেশ্য মনে রেখে তারই উপযোগী পুস্তক নির্ব্বাচন করা এদেশের ছাত্রদের মধ্যে নেই বল্লেই চলে। যে-কোনো লাইব্রেরীর কর্ত্তৃপক্ষগণকে যদি জিজ্ঞাসা করে দেখেন “পাঠকগণ নভেল নাটকই বা কত পড়েন আর ইতিহাস ও জীবনীই বা কখানা পড়েন,” দেখ্বেন তৃপ্তিকর উত্তর পাওয়া যাবে না।
আমাদের ছাত্রদের মধ্যে নভেলের প্রতি একটা ভয়ঙ্কর আগ্রহ দেখা যায়। ভাল-পাশ-করা শিক্ষিতছেলে ছুটীতে যদি নভেল পেলে ত স্নানাহার বন্ধ—যতক্ষণ না বইখানা শেষ হয়। কিন্তু একখানা বড় নভেল পড়তে আমার ছ মাস লাগে, কারণ আমাকে ঠিক সময় মত কাজ কর্তে হয়, ল্যাবরেটরীতে কাজ করার পর আধ ঘণ্টা সময় পেলে পড়ি, নইলে নয়। সব কাজেরই একটা নির্দ্দিষ্ট সময় থাকা চাই—সকলেরই এই প্রণালী অবলম্বন করা উচিত, বিশেষ আমাদের দেশে, যেখানে স্বাস্থ্যের একান্ত অভাব। ম্যালেরিয়ার প্রকোপে লোকে আজীবন ব্যাধিগ্রস্ত; ট্রেশে খাবার নেই, শরীরে পুষ্টি নেই। সকলেই দীন দরিদ্র, অন্নসংস্থানের ভাবনায় সবাই অস্থির। বাঙ্গালীর প্রধান