বিলাতে তিন মাস কি তার কিছু বেশী দিন ধ’রে গাছপালার সবুজ পাতা থাকে। অন্য সময়ে কাঁচের ঘরের মধ্যে কলাগাছ প্রভৃতি বাঁচিয়ে রাখ্তে হয়। কিন্তু সে দেশের লোকেরা এই কয়মাসের সুবিধায় উদ্ভিদ্বিদ্যা অধ্যয়ন ক’রে সেই সম্বন্ধে নানা সত্য আবিষ্কার করে। আর আমরা এই চিরসবুজ দেশে চিরকালই চুপ ক’রে বসে থাকি। চক্ষুষ্মান কারা? ১৮৪৫ সালে হূকার নামে এক ইউরোপীয়ান্ এদেশে উদ্ভিদ্বিদ্যা আহরণ কর্তে এসেছিলেন। তখন দার্জিলিঙ্গের রেল হয়নি। কিন্তু তিনি অশেষ ক্লেশ স্বীকার ক’রে গাছগাছড়া দেখ্বার জন্যে সিকিম গেলেন। তারপর সে দেশে বন্দী হলেন; সেই কারণে সিকিমের সঙ্গে যুদ্ধই বেধে গেল। যা হোক্, অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তিনি ১০০০০ (দশ হাজার) রকম আবশ্যকীয় গাছগাছড়া সংগ্রহ ক’রে বিলাতে ফিরে গেলেন; সে-সব এখনও কিউ গার্ডেন্সে (Kew Gardens) আছে। আমাদের এমনই দুর্ভাগ্য যে ভারতের উদ্ভিদ্জ্ঞান ইংরেজের বই প’ড়ে শিখতে হয়।
রক্স্বর্গের Flora Indica নামে এক অমূল্য গ্রন্থ আছে। শতাধিক বৎসর পূর্ব্বে তিনি সমস্ত ভারত পদব্রজে ভ্রমণ করে নানা রকম গাছ সংগ্রহ করেছিলেন। এবং প্রত্যেকটির বাঙ্গালা, হিন্দি, তামিল নাম জোগাড় করেছিলেন। তাঁর বই সকলে পড়ে। এঁরা ইউরোপীয়ান্ ম্লেচ্ছ, কিন্তু আমাদের চিরস্মরণীয়।
জুঅলজিক্যাল গার্ডেনে ইউরোপীয়েরা নানা রকম পশুপক্ষী কীটপতঙ্গ প্রভৃতির জীবন-যাপন-প্রণালী অধ্যয়ন করেন। ফরাসী দেশের একজন উকিল কুড়ি বৎসর ধরে শুয়াপোকা ও প্রজাপতি কেমন ক’রে এক থেকে অপরে পরিণত হয় তা পর্য্যবেক্ষণ করেছেন,