পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮০ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী বিলাতে তিন মাস কি তার কিছু বেশী দিন ধ’রে গাছপালার সবুজ পাতা থাকে। অন্ত সময়ে কাচের ঘরের মধ্যে কলাগাছ প্রভৃতি বঁচিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু সে দেশের লোকেরা এই কয়মাসের সুবিধায় উদ্ভিদবিদ্যা অধ্যয়ন ক’রে সেই সম্বন্ধে নানা সত্য আবিষ্কার করে। আর আমরা এই চিরসবুজ দেশে চিরকালই চুপ ক’রে বসে থাকি । চক্ষুষ্মান কারা ? ১৮৪৫ সালে হুকার নামে এক ইউরোপীয়ান এদেশে উদ্ভিদবিদ্যা আহরণ করতে এসেছিলেন । তখন দার্জিলিঙ্গের রেল হয়নি। কিন্তু তিনি অশেষ ক্লেশ স্বীকার ক’রে গাছগাছড়া দেখবার জন্যে সিকিম গেলেন। তারপর সে দেশে বন্দী হলেন ; সেই কারণে সিকিমের সঙ্গে যুদ্ধই বেধে গেল । যা হোক, অক্লাস্ত পরিশ্রমের পর তিনি ১০ ০০০ ( দশ হাজার ) রকম আবশ্যকীয় গাছগাছড়া সংগ্রহ ক’রে বিলাতে ক্সিরে গেলেন ; সে-সব এখনও কিউ গার্ডেন্সে ( Kew Gardens ) আছে। আমাদের এমনই দুর্ভাগ্য যে ভারতের উদ্ভিদজ্ঞান ইংরেজের বই পড়ে শিথ তে হয়। - রক্সবর্গের Flora Indica নামে এক অমূল্য গ্রন্থ আছে। শতাধিক বৎসর পূর্ব্বে তিনি সমস্ত ভারত পদব্রজে ভ্রমণ করে নানা রকম গাছ সংগ্রহ করেছিলেন। এবং প্রত্যেকটির বাঙ্গালা, হিন্দি, তামিল নাম জোগাড় করেছিলেন। তার বই সকলে পড়ে। এরা ইউরোপীয়ান স্লেচ্ছ, কিন্তু আমাদের চিরস্মরণীয়। . . জুমলজিক্যাল গার্ডেনে ইউরোপীয়রা নানা রকম পশুপক্ষী কীটপতঙ্গ প্রভৃতির জীবন-যাপন-প্রণালী অধ্যয়ন করেন। ফরাসী দেশের একজন উকিল কুড়ি বৎসর ধ’রে শুয়াপোকা ও প্রজাপতি কেমন ক’রে এক থেকে অপরে পরিণত হয় তা পর্য্যবেক্ষণ করেছেন,