পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

,২৮৬ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী নষ্টস্বাস্থ্য, ম্যালেরিয়াজীর্ণ, রুগ্ন, ক্লিষ্ট ক্ষীণদৃষ্টি । এ রকম ভাল-পাশকরা ছেলের যজীবনম্ন তন্মরণম। ইংলণ্ডে কিন্তু তা নয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেরা খুব বেশী পড়ে না, অকালপক্ক হয় না, এচোড়ে পাকে না । ১৮৭৫ সালে ফাষ্ট ক্লাশ পাশ করে আমরা আজীবন তার দোহাই দিয়ে থাকি, যদিও এই পাশ করার পর লেখা-পড়ার সঙ্গে আর কোন সম্পর্কই আমাদের থাকে না। তারপর এই ফাষ্ট ক্লাশ পাশ করাটাই বা কি ? বিশ্ববিদ্যালয়ের যা Academic year Efr= ত দুবছরে দশমাস মাত্র পড়া হয়। এই দশমাস পড়ে সব বিদ্যা, আয়ত্ব হয়ে যায় কি ? আজীবন না পড়লে শেখা যায় না। প্রত্যেক দিন নূতন নূতন তত্ত্ব প্রকাশিত হচ্ছে, সে-সকলের খবর রাখতে হবে । ফাষ্ট হও আর না হও, আজীবন পড়বে, পাশ হবার পরেই কেতাবের সঙ্গে সেলাম আলেকম ক’রে তার নিকট চিরবিদায় গ্রহণ কি ভয়ঙ্কর । কি সর্ব্বনাশ ! এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিধারী দেখলে আতঙ্গে আমার প্রাণ শিউরে ওঠে। তার ছদ্মবেশী মুখ। এমাসন বলেন “কোন ছেলে backward অর্থাৎ পড়াশুনায় কাচা হলে তিরস্কার করবে না। সাধারণতঃ ছেলেরা সব বিষয়ে ভাল বা চৌকস হয় না। যে সববিষয়ে ভাল, সে ত একটা miracle–ans অদ্ভূত কিছু, যা ভূতলে অতুল।” এমাসন আরও বলেন “কোন ছেলে যদি চুরি করে ক্লাসের বই ছাড়া অন্য বই পড়ে, মাষ্টার তাকে বেত মারেন ; আমি হলে পুরস্কার দিই।” ছাত্র হয়ত নেপোলিয়নের জীবনী রা গোল্ডসমিথের ইতিহাস বা যা তার স্কুলপাঠ্য নয় এমন কিছু পড়ছে, তাতে বাধা দেওয়া অন্যায়, উৎসাহ দেওয়া যুক্তিসঙ্গত, কারণ সে অনেক নূতন বিষয় শিখতে পারবে। ছাত্রের প্রতি চাপ দেওয়া উচিত নয়, তার প্রতিভার যাতে বিকাশ হয় শিক্ষকদের তাই করা