পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যয়ন ও জ্ঞানলাভ २४-१ চাই । ইউনিভারসিটির বাধা বই পড়লে বা গোটাকতক পাশ করলে প্রতিভার বিকাশ হয় না। হালিসহরে রামপ্রসাদ জন্মেছিলেন, তার কgা সবাই জান । তিনি হিসাব লেখার এক চাকুরি পেয়েছিলেন, কিন্তু খাতার পিঠে পিঠে কালী-সংকীর্ত্তন লিখতেন- এমন কি ভারতের যে দুজন জগতে অসাধারণ কীর্ত্তি অর্জন করছেন,— রবীন্দ্রনাথ ও রামানুজম্ (ইনি সম্প্রতি রয়েল সোসাইটির সভ্য হয়েছেন) তাদের কেহই ইউনিভারসিটির এডুকেশনের ধার ধারেন না, তারা পাশ-করা নন। কিন্তু এই পাশ না করতে পারলেই আমাদের ছেলেদের মুখ আধার। মো বলেন-পোড়াকপাল আমার, ছেলে পাশ হলো না. আবার সময় সময় ছেলে আত্মহত্যা ক’রে বসে । আমি বলি—তোমার যা ভাল লাগৈ তাই কর । উৎসাহের সহিত একটা নূতন কিছু আরম্ভ করে দাও । কারণ উকিল ডাক্তার ও কেরাণী এই নিয়ে জাষ্টি টেকে না । * আমন্ত্রদের চরম দুৰ্গতি হয়েছে। এখন আমাদের নানা বিষয়ে, অর্থকর বিষয়ে, ব্যবসাবাণিজ্যে মন দিতে হবে । এ সম্বন্ধে আমি আমার লিখিত “বাঙ্গালীর মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যুবহার" নামক পুস্তিকায় কয়েকটা কথা লিখেছি, তোমরা সেট। পড়ে দেখো । আমাদের অবস্থা দেখে মনে হয় বিধাতা যেন বলেন, “বাঙ্গালীর ছেলে, শরীর নষ্ট করুবি আর কেরাণীগিরি করুবি ; তার বেশী কিছুই নয়।” এ অবস্থায় থাকলে চলবে না, এ জীবনের পথ নয়, মৃত্যুর পথ ; এ পথ থেকে ফিরতেই হবে।