পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৫

জাতীয় বিদ্যালয়ের

প্রয়োজনীয়তা।[]

মাননীয় সভাপতি ও সমাগত ভদ্রমহোদয়গণ,—

 এই মেদিনীপুরের প্রান্তে উপস্থিত হইবার পর হইতে আপনারা যেরূপ বর্ষাকালের বৃষ্টির ন্যায় আমার মস্তকোপরি কৃপাবারি বর্ষণ করিতেছেন তাহাতে আমি অভিভূত হইয়াছি। বাস্তবিক আপনারা আমার প্রতি যে ভাষা প্রয়োগ করিয়াছেন আমি তাহার সহস্রাংশের একাংশেরও উপযুক্ত নহি। ইহা আপনাদের দয়া ও সহৃদয়তার চিহ্ন মাত্র। আমি আগন্তুক, তাই অতিথি সৎকারের ভাজন হইয়াছি। যাহা হউক এই ব্যক্তিগত বিষয় লইয়া আর আপনাদের সময় নষ্ট করা উচিত নহে।

 এই যে মহতী সভা—এই সভায় উপস্থিত হইবার পর আমার মনে অনেক নূতন ভাবের উদ্রেক হইতেছে। আমি বাংলাব যে অংশে থাকি তাহা ব্রাহ্মণ-কায়স্থ প্রধান স্থান। সেখানে এক রকম দেখিতেছি। আমার জীবনের যে প্রধান সাধনা তাহা এখানে কিয়ৎপরিমাণে সিদ্ধির পথে উপস্থিত হইয়াছে দেখিয়া ঈশ্বরের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি। এখানে মাহিষ্য সমাজের প্রাধান্য, তাহা ছাড়া আপনারা এই সভায় পৌণ্ড্র, ক্ষত্রিয়, নমঃশূদ্র, তন্তুবায় প্রভৃতি সমাজের প্রতিনিধিগণকে আহ্বান করিয়াছেন। ইহাতে


  1. মেদিনীপুর জেলার কলাগাছিয়া গ্রামে প্রদত্ত বক্তৃতা ১৫ই জানুয়ারী ১৯২৪।