পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৯০
আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী

খানার” সহিত সংশ্লিষ্ট রহিয়াছি! যাঁহারা খুলনা জেলার কোনও খবর রাখেন তাঁহারা জানেন আমি খুলনার অনেক স্কুলের (affiliated) অনুষ্ঠাতারূপে পরিগণিত, এবং সেখানকার বাগেরহাট কলেজের সহিতও সম্পর্কিত। সেই আমি—আমার কি অধিকার এই জাতীয় বিদ্যালয়ে আসিয়া দাঁড়াই! ইহার কৈফিয়ৎ আপনারা চাহিতে পারেন। যে মাতাল, যে মদের নেশায় সর্ব্বস্বান্ত, মদ খাওয়ায় কত অনিষ্ট সে যেমন জানিতে পারে শুধু বইতে মদের অপকারিতা পড়িয়া কেহই তেমন জানিতে পারে না! তাহা বলিয়া আমি গবর্ণমেণ্টের স্কুল কলেজ পরিত্যাগ করিতে বলিতেছি না। কিন্তু জাতীয় শিক্ষা সম্বন্ধে আমি অনেক চিন্তা করিয়া দেখিয়াছি এবং তাহার যে উপযোগিতা কি—বিশেষতঃ আপনাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে—তাহা আমি বিশেষরূপে উপলব্ধি করিয়াছি।

 আমি গোলামখানার সহিত সম্পর্কিত হইলেও মুসলমানগণ আমাকে আলিগড় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাধি বিতরণ (Convocation) উপলক্ষে ডাকিয়া পাঠাইলেন। হাকিম আজমল খাঁ প্রথমে ঐ জন্য আমাকে তার করেন। আমি জানাইলাম আমার কাজ অনেক, এখন যাওয়া সম্ভব নহে। তখন হাকিম আজমল খাঁ ও ডক্তার আন্‌সারী উভয়ে মিলিয়া আমাকে বিশেষ অনুরোধ করিয়া পাঠাইলেন। তাঁহাদের অনুরোধ উপেক্ষা করিতে পারিলাম না। কয়দিন পরেই সেই আমিই আবার সবরমতী গুজরাট বিদ্যাপীঠে—যেখানে মহাত্মার আশ্রম—তাহার ভিত্তি সংস্থাপনের জন্য আহূত হই। এবারও চুপ করিয়া থাকিতে পারি নাই। এ বড় অদ্ভুত! বাংলা দেশেও যত জাতীয় বিদ্যালয় আছে সব স্থান হইতে আহ্বান পাই। কি কারণ? কেন আসি? শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে যাঁহারা বিদ্রূপ করেন তাঁহারা বলেন জাতীয় বিদ্যালয়-