building in Khulna, and one of the finest buildings in Bengal. কিন্তু আমার মন আর গ্রামমুখী হইতে ইচ্ছা করে না। আমি সেই স্কুলের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াছি। কিন্তু কেহ মানুষ হয় নাই। পাশাপাশি গোলামখানা ও জাতীয় বিদ্যালয় থাক্—তাহাদের মধ্যে অনন্ত তফাৎ দাঁড়াইবে। জাতীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা মাথা উঁচু করিয়া থাকে, ইহাদের মধ্যে দেশমাতৃকার প্রতি ভালবাসা জাগ্রত, ইহারা নয়-নারায়ণের সেবায় সর্ব্বদা ব্যগ্র।
জাতীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা সব সময় জানে যে ত্যাগ স্বীকার করিতে হইবে। দুর্ভিক্ষ আর বন্যায় তাহারাই সর্ব্বাগ্রে অগ্রসর হয়। খুলনার দুর্ভিক্ষের জন্য ৩ লক্ষ টাকা ও উত্তর বঙ্গের জল-প্লাবনের জন্য ৭ লক্ষ টাকা দেশবাসী আমার হাতে সমর্পণ করিয়াছিলেন। এই সমস্ত টাকাই আমাকে ব্যাঙ্কে জমা দিতে হইত অথবা দাতাদিগের নিকট ফেরত দিতে হইত যদি জাতীয় বিদ্যালয়ের ছাত্র ও কংগ্রেস কর্ম্মিগণ আমাকে অম্লানবদনে অকাতরে সাহায্য না করিতেন। এই সব স্বেচ্ছাসেবক আসিয়াছিলেন ফরিদপুর, মাদারিপুর, বাজিতপুর, বিক্রমপুর ও বরিশাল হইতে। খুলনার নয়, যশোহরের নয়, পশ্চিম বাংলার নয়, মেদিনীপুর হইতেও বেশী পাই নাই। এখনও ৫০।৬० জন স্বেচ্ছাসেবক সেই সকল স্থানে কাজ করিতেছেন। আপনাদের এই জাতীয় বিদ্যালয়টীকে রক্ষা করা সর্ব্বতোভাবে কর্ত্তব্য। কিন্তু তাহা বলিয়া আমি ৯০০ শত affiliated স্কুল ভাঙ্গিতে চাই না। আপনাদের অধিকাংশ কৃষিজীবী, কৃষিই আপনাদের প্রধান উপজীবিকা। নিজের হাতে জমি চাষ করিতে হইবে, নিজেকে কোদাল ধরিতে হইবে—তবেইত ঠিক মানুষ হইবে।
ভাটিয়া, মাড়োয়ারীরা আমাদের দেশকে জয় করিয়াছে কেন?