সব ভারত মাতার সুসন্তান ধন্য। দেশ তাঁহাদিগকে শীর্ষস্থান দিবেই। মেদিনীপুরে ২৬ লক্ষ লোকের বাস, এখানে ৪টা জাতীয় বিদ্যালয়ের স্থান নাই বলিলে চলিবে কেন?
বহিমিয়া এখন স্বাধীন হইয়াছে—তাহা বোধ হয় জানেন। কিন্তু যখন ইহা পরাধীন ছিল তখন মুষ্টিমেয় কয়েকজন যুবক জাতীয় শিক্ষার প্রচার করিয়া ঐ দেশ স্বাধীন করিবার কল্পনা করিতেন। এক দিন তাঁহারা বলিয়াছিলেন “If the ceiling of the roof under which we sit, were to fall and crush us there would be an end of the national Government.” সেই মুষ্টিমেয় যুবকসম্প্রদায় দেশের মধ্যে যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করিয়াছিলেন, ভবিষ্যতে তাহাতে সমগ্র দেশের মুখ উজ্জ্বল হইয়াছিল। আজ এই একটী নিতান্ত গণ্ডগ্রাম কলাগেছিয়াতে এই যে জন কয়েক যুবক, তুষের আগুন জ্বালিয়াছেন, অদূর ভবিষ্যতে ইহার আভায় সমস্ত দেশ উজ্জ্বল হইবে। কিছুদিন পরে যখন মেদিনীপুরের ইতিহাস লিখিত হইবে—(তখন হয়ত আমার দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হইবে)—তখন তাহাতে লাগেছিয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত হইবে। এবং মেদিনীপুরের মধ্যে সর্ব্বপ্রথম জাতীয় বিদ্যালয় কলাগেছিয়াতে স্থাপিত হইয়াছিল বলিয়া মেদিনীপুরের ইতিহাসে কলাগেছিয়ার নাম অতি উচ্চস্থান লাভ করিবে।
স্ত্রী শিক্ষা—
সময় সংক্ষেপ, বলিবার অনেক কথা আছে। দেশে স্ত্রী-শিক্ষা দিতেই হইবে। মা যতদিন মুর্খ থাকিবে ছেলের ততদিন কোনও উন্নতি হইবে না। আপনারা যতই M. A, B. A. হউন না, আপনাদের সহধর্ম্মিণী নিশ্চয়ই গণ্ডমূর্খ। মার স্তন্য পানের সময়ই প্রকৃত শিক্ষার সময়। আপনারা রবীন্দ্রনাথের, সহধর্ম্মিণীর স্বামীর নিকট সেই