পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতীয় বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা ミぬぬ。 “টোপাকুল ও আইমার কাছে যাব” গল্প জানেন। স্বামী যতই শিক্ষিত হউন এ কেন তাহাতে দেশের ও সমাজের কিছুই উপকার হইবে না যতদিন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এমন একটা উচ্চ প্রাচীর ব্যবৃধান থাকিবে যাহা কখনই উল্লঙ্ঘন করা যাইবে না। আপনার আলো ও ছায়া” প্রণেতার সেই কবিতাটা জানেন “তোমাতে আমাতে মিলন, আলোক আঁধারে যেমন” । স্ত্রী-শিক্ষা না হইলে কিছুতেই চলিবে না। গ্রামে গ্রামে স্ত্রী শিক্ষা চাই। নেপোলিয়ান বলিয়াছিলেন ফ্রান্স দেশে যতদিন নামা তৈয়ার হইতেছেন, ততদিন ফ্রান্সের উন্নতি অসম্ভব। আমাদের দেশেও সেই অবস্থা। গ্রামে গ্রামে অন্ততঃ নিম্ন প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় থাকা নিতান্ত প্রয়োজন খন্দর চরক। ধরুন। ঘরে ঘরে তুলার চাষ করুন। সেদিন অন্ধ দেশ হইতে আসিয়াছি । সেখানে শতকরা ৯৫ জন খদ্দর পরেন । আমরা বেশী সুসভ্য, তাই খদ্দর পরি না। তাহাদের ক্ষেতে তুলা উৎপন্ন হয়, তাহার। বাঙ্গালীর মত এত স্বসভ্য নয়। আমরা যে বেশী সুশিক্ষিত হইয়াছি । মিহি কাপড় না হইলে পরিতে পারি না । ইহারা বলেন খদর খুব ভারী। ইহাদের ফিন্‌ফিনে ধুতি চাই। আমি জিজ্ঞাসা করিম লক্ষ্মীদের গহনার ওজন কত ? কেরাণীবাবুদের ধড়াচুড়া হাট কোট ইত্যাদির গুজনই বা কত ? যত দোষ এই খন্দরের বেলায়। বিলাতী কাপড় পরিলে টাকাটা জন্মের মত দেশ হইতে বিদায় দিলাম। হাতের স্থতা গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় যে তত্ত্ববায় আছে, জোলা আছে, তাহারা বুনিবে। গ্রামের টাকা গ্রামেই থাকিয়া যাইবে।” অনেকে বলেন মিলের কাপড় পরিলেই ত হইল। কিন্তু তাহাতে কি হইবে ? টাকাটা বোম্বাই কি আমেদাবাদে চলিয়া গেল। ঠিক মহাজনের