হইতে এই সব দেশ হইতে শ্রীমন্ত সওদাগর শত শত জাহাজ পণ্য বোঝাই করিয়া বিদেশে বাণিজ্য করিতে যাইত। কিন্তু সেই দেশের লোক আজ নিজের দোষে অল্পের কাঙ্গাল।
অস্পৃশ্যতা—
জাতিভেদ কি বিষ! এ পাপেরই বা কি প্রায়শ্চিত্ত! বাঙ্গালী মানে কেবল ব্রাহ্মণ, কায়স্থ বৈদ্য নহে। ব্রাহ্মণ ১২|১৩ লক্ষ মাত্র, কায়স্থের সংখ্যাও ঐরূপ, বৈদ্যের সংখ্যাও এক লক্ষের কম। এই ২৫৷২৬ লক্ষ লোক লইয়া বাংলা হয় নাই। সমস্ত হিন্দুর সংখ্যার শতকরা ৫ জন এবং হিন্দু মুসলমান দুই ধরিলে শতকরা ২ জন ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈদ্য। আমার যেখানে বাস সে অঞ্চলে ব্রাহ্মণ কায়স্থ প্রধান সমাজ বটে, কিন্তু শতকরা ৫০|৬০ জন মুসলমান। সেইজন্য বর্তমান সময়ে আমাদিগকে অনেক জটিল প্রশ্নের মধ্যে আসিয়া পড়িতে হইয়াছে। কিন্তু এখানে শতকরা ৯০ জন হিন্দু মাহিষ্য। এখানে বড় আহ্লাদের বিষয় আপনারা নিজের পায়ের উপর দাঁড়াইয়া স্বাবলম্বী হইতে শিক্ষা করিতেছেন। মাহিষ্য সমাজের মধ্যে অনেক বড় লোক জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন। আপনাদের নেতা শ্রীযুক্ত বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের ত্যাগ অসাধারণ। তিনি ধনী, জমিদার, ব্যারিষ্টার হইয়াও মায়ের আহ্বানে সমস্ত ত্যাগ করিয়া কারাবরণ করিয়াছেন। এ রকম মুকুটমণি যে মাহিষ্য সমাজের মধ্যে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন তাহাতে শুধু মাহিষ্য সমাজ নহে—সমগ্র বঙ্গদেশ ধন্য হইয়াছে। আমার রাম প্রসাদের সেই গানটী মনে পড়িতেছে, “এই, মানব জমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফল্তো সোনা।” বাস্তবিক মাহিষ্য বলুন, পৌণ্ড্রক্ষত্রিয় বলুন, ইহাদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার হয় নাই। এই সব পতিত জমি আবাদ করলে কি সোনাই ফল্তো! এই সমাজের মধ্যে একজন আমার প্রিয়