পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০২ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী শিষ্য এম, এস.সি পরীক্ষায় বেশ প্রতিভার পরিচয় দিয়াছেন এবং রসায়ন-শাস্ত্রে গবেষণা করিবার জন্য বৃত্তি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। এখন ইনি মেদিনীপুরে ওকালতি করিতেছেন। আমার অনেক ছাত্র আপনাদের বীরেনবাবুর মত অথবা তাহার অপেক্ষ অধিকতর ত্যাগ করিয়াছেন । ডাক্তার প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ বিলাতে না গিয়াও রসায়ন শাস্ত্রে অসাধারণ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছেন। ভারত গবর্ণমেণ্ট তাহাকে যথোচিতভাবে টাকশালের কর্ত্ত (Assay master of mint) করিয়া দিয়ছিলেন । অল্প পর্য্যস্ত চাকুরী করিলে তাহার ১৭০০২ টাকা বেতন হইতে পারিত। তিনি দরিত্রের সন্তান হইয়াও আন্দোলনের প্রথমেই দেশ মাতৃকার আহ্বানে নিজের সমস্ত স্বার্থ বিসর্জন দিলেন । আমার আরও অনেক ছাত্র এইরূপ র্যাহারা সমাজে অনুন্নত তাহাদিগকে টানিয়া তুলিবার চেষ্টা করিতেছেন। আমিও সেই পথের পথিক । বাংলার মুসলমান আমাদের রক্তমাংস। র্তাহারা হিন্দু সমাজের সংস্কীর্ণত ও অনুদারতার নিমিত্ত ধর্শ্বাস্তর গ্রহণে বাধ্য হইয়াছেন । তারপর আমরা যাহার হিন্দু আছি আমাদের মধ্যে আত্মকলহ উপস্থিত। আজ যে বাংলায় শতকরা ৫২ জন মুসলমান তাহারা আমাদের “পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ । এই সকল অস্পৃশুজাতি আমাদেরই অত্যাচারে— রাজশক্তি প্রয়োগে নয়—ইসলাম ধর্ম্ম গ্রহণ করিয়াছেন । যদি রাজশক্তি প্রয়োগে হিন্দুরা মুসলমান হইত তাহা হইলে দিল্লী রা মুর্শিদাবাদ প্রভৃতির নিকটবর্তী স্থানে মুসলমান সংখ্যা সর্ব্বাপেক্ষ অধিক হইত। তাহা না ইইয়া দেখা যায় যতই রাজতত্ত হইতে বেশী দূরে ততই মুসলমার্মের সংখ্যা অধিকতর। বল্লালী নিয়মের কঠোরতাই ইহার একমাত্র কারণ। ইসলাম ধর্মের মূলমন্ত্র একতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব । যখন