শিষ্য এম, এস্-সি পরীক্ষায় বেশ প্রতিভার পরিচয় দিয়াছেন এবং রসায়ন-শাস্ত্রে গবেষণা করিবার জন্য বৃত্তি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। এখন ইনি মেদিনীপুরে ওকালতি করিতেছেন। আমার অনেক ছাত্র আপনাদের বীরেনবাবুর মত অথবা তাঁহার অপেক্ষা অধিকতর ত্যাগ করিয়াছেন। ডাক্তার প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ বিলাতে না গিয়াও রসায়ন শাস্ত্রে অসাধারণ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছেন। ভারত গবর্ণমেণ্ট তাঁহাকে যথোচিতভাবে টাঁকশালের কর্ত্তা (Assay master of mint) করিয়া দিয়ছিলেন। আজ পর্য্যন্ত চাকুরী করিলে তাঁহার ১৭০০ টাকা বেতন হইতে পারিত। তিনি দরিদ্রের সন্তান হইয়াও আন্দোলনের প্রথমেই দেশ মাতৃকার আহ্বানে নিজের সমস্ত স্বার্থ বিসর্জ্জন দিলেন। আমার আরও অনেক ছাত্র এইরূপ যাঁহারা সমাজে অনুন্নত তাহাদিগকে টানিয়া তুলিবার চেষ্টা করিতেছেন। আমিও সেই পথের পথিক।
বাংলার মুসলমান আমাদের রক্তমাংস। তাঁহারা হিন্দু সমাজের সংকীর্ণতা ও অনুদারতার নিমিত্ত ধর্মান্তর গ্রহণে বাধ্য হইয়াছেন। তারপর আমরা যাহারা হিন্দু আছি আমাদের মধ্যে আত্মকলহ উপস্থিত। আজ যে বাংলায় শতকরা ৫২ জন মুসলমান তাহারা আমাদের “পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ। এই সকল অস্পৃশ্যজাতি আমাদেরই অত্যাচারে— রাজশক্তি প্রয়োগে নয়—ইসলাম ধর্ম্ম গ্রহণ করিয়াছেন। যদি রাজশক্তি প্রয়োগে হিন্দুরা মুসলমান হইত তাহা হইলে দিল্লী বা মুর্শিদাবাদ প্রভৃতির নিকটবর্ত্তী স্থানে মুসলমান সংখ্যা সর্ব্বাপেক্ষা অধিক হইত। তাহা না হইয়া দেখা যায় যতই রাজতক্ত হইতে বেশী দূরে ততই মুসলমানের সংখ্যা অধিকতর। বল্লালী নিয়মের কঠোরতাই ইহার একমাত্র কারণ। ইসলাম ধর্মের মূলমন্ত্র একতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব। যখন