চিত্রকর যে ছবিগুলি আঁকিয়াছেন, তাহা কোনও পাশ্চাত্য পাখীর ছবি অপেক্ষা কোনও অংশে হীন নহে। আমি দেখিলাম যে, আমার অনুমান মিথ্যা নহে। বুঝিতে পারিলাম যে, আমাদের দেশের হাওয়া ফিরিয়াছে।
য়ুরোপে দেখা যায় যে, যাঁহারা জ্ঞানরাজ্যের সীমান্ত-রেখা নিজ নিজ প্রতিভাবলে সুদূর প্রসারিত করিয়াছেন, তাঁহারা একটা না একটা খেয়াল বা নেশার বশবর্ত্তী হইয়া তাহাতেই আপনাদিগকে উৎসর্গ করিয়া থাকেন। হোয়াইট (White) এর Natural History of Selbourne পাঠ করিলে বুঝিতে পারা যায়, কেমন করিয়া একজন মধ্যবিত্ত পাদ্রী কতকগুলি বিহঙ্গের হাবভাব স্বভাব (Habits) ও জীবনকাহিনী সূক্ষ্মভাবে পর্য্যবেক্ষণ করিয়া এক অপূর্ব্ব গ্রন্থ রচনা করিয়া চিরস্মরণীয় হইয়াছেন। Swallow জাতি কি প্রকারে নীড় রচনা করে এবং কোন সময়ে তাহারা ইংলণ্ডে আইসে এবং শীতের প্রারম্ভে জীবন রক্ষার্থ কোথায় চলিয়া যায়;—এই সকল বিচিত্র ঘটনা লিপিবদ্ধ করিয়া বিহঙ্গতত্ত্ববিদগণের মধ্যে তিনি উচ্চ আসন অধিকার করিয়া জনসাধারণ কর্ত্তৃক সমাদৃত হইয়া আসিতেছেন। আমাদের “পাখীর কথা” রচয়িতা যথার্থই বলিতেছেন,—“তত্ত্বলাভের তীব্র বাসনা য়ুরোপীয় বালকবৃন্দকে যে কেবল দেশীয় পক্ষীর পালন ব্যাপারে লিপ্ত করিতেছে, তাহা নহে; তাহারা বহু বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করিয়া নানাবিধ বিদেশীয় পক্ষীকে সাবধানে ও সযত্নে স্বদেশে আনয়নপূর্ব্বক অনভ্যস্ত প্রকৃতি-প্রতিকূল জলবায়ু কৃত্রিম উপায়ে অভ্যাস করাইয়া কৃত্রিম খাদ্যাদির সাহায্যে উহাদিগের পুষ্টিসাধন করিয়া বৈদেশিক পাখীগুলির জীবনলীলা পর্য্যবেক্ষণের যথেষ্ট অবসর পাইতেছে। এমন কি, কোন কোন তত্ত্বজিজ্ঞাসু কেবল বৈদেশিক পক্ষিপালনে নিযুক্ত থাকিয়া