পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতিভেদ ও তাহার প্রায়শ্চিত্ত wo) (; বাঙ্গালাদেশে অনিয়ন করেন, এইরূপ প্রবাদ আছে। সেই পঞ্চ ব্রাহ্মণ হইতে বর্ত্তমান কুলীন ব্রাহ্মণের উৎপত্তি। বল বাহুল্য যে, সেই ব্রাহ্মণগণ র্তাহাদের পত্নীগণকে সঙ্গে আনিয়াছিলেন কিনা তাহ জানা নাই। তৎপরে বল্লালসেন কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তন করিয়া বঙ্গের তথাকথিত, উচ্চজাতিগুলির মধ্যেও উপজাতির স্বষ্টি করেন এবং তখন আমাদের দেশে জাতিভেদের ভিত্তি স্বদ্যুরূপে স্থাপিত হয়। এখন আমরা আমাদের চতুর্দিকে নানা প্রকার জাতি” দেখিতে পাই, বাঙালাদেশের ৩৬ জাতির কথা সকলেই অভিজ্ঞাত। কিন্তু হিসাব করিয়া দেখিলে এই সংখ্যা ৬০৭০ এরও অধিক । অথচ এতগুলি জাতির মধ্যে জাতি ও বর্ণ অনুসারে কোন বৈষম্য নাই , নৃতত্ত্বের দিক্‌ (ethnologically) দিয়া দেখুিতে গেলে একজন নমঃশূদ্র ও একজন ব্রাহ্মণের মধ্যে বিশেষ কোন পার্থক্য, বুঝিতে পার। যাইবে না । এক সময়ে বাঙালাদেশে বৌদ্ধমত অত্যন্ত বিস্তার লাভ করিয়াছিল—প্রায় হাজার বৎসর ধরিয়া বাঙালাদেশে বৌদ্ধ প্রভাব বর্তমান ছিল ; তৎকালে জাতিভেদের বাধন শিথিল হইয় পড়ে। কিন্তু ব্রাহ্মণ্য ধর্মের পুনরুত্থানের সঙ্গে সঙ্গে জাতিভেদ আবার তাহার সমস্ত কঠোরতা লইয়া ফিরিয়া আসে । বর্ত্তমানে বাঙালাদেশে শতকরা ৫০ জনেরও অধিক भूललभान অথচ এই মুসলমানদিগের মধ্যে শতকরা ৯৯ জন লোকের শরীরে হিন্দুর রক্ত, আজ যে বাংলাদেশের এই শতকরা ৫০ জনেরও অধিক মুসলমান-ইহার কারণ হিন্দু সমাজের কঠোরতা। জাতিভেদের কঠোর বন্ধনে, হিন্দু সমাজকে আমরা সঙ্ঘবদ্ধ করিতে যাইয়া তাহাকে কেবল পঙ্গুই করিয়াছি। এই শতকরা ৯৯ জন মুসলমান-যাহাদের রক্ত হিন্দু ও ভাষা বাংলা—তাহারা আমাদেরই অত্যাচারে জর্জরিত হইয়া ইসলামের উদার বক্ষে আশ্রয় লইয়াছে। মুসলমান সমাজ মানুষকে