শুনিয়াছিলাম তত্রস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করিয়া বিশেষ কোন ফললাভ করা যায় নাই। অথচ সেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই অনতিদূরে এক ধনী মাড়োয়ারী এক মর্ম্মরনির্ম্মিত পান্থশালা বা ধর্ম্মশালার স্থাপনা করিতেছেন। ব্যয় অন্যূন ৮।১০ লক্ষ হইবে! পূর্ব্বে যখন রেলপথের সৃষ্টি হয় নাই তখন না হয় এই প্রকার পান্থনিবাসের সার্থকতা ছিল, কিন্তু বর্ত্তমান কালে ইহার সেরূপ প্রয়োজনীয়তা কোথায়? পরলোকগত দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন পূর্ব্ববঙ্গের কোন প্রসিদ্ধ তিলিজাতীয় ধনীর গৃহে অর্থ সংগ্রহে গমন করিয়াছিলেন। অনেক কথা ও সময় ব্যয়ের পর সেই কোটীপতি দেশসেবায় ১০৲ টাকা দান করিতে স্বীকৃত হইয়াছিলেন! ইহা কি আমাদেরই পাপের ফলে নহে? জাতিকে নানা দিক দিয়া উঠিতে হইবে। নৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থ নৈতিক কোন দিকেই পশ্চাতে পড়িয়া থাকিলে চলিবে না।
জাতিভেদের লৌহশৃঙ্খল আমাদিগকে পাষাণ-মন্দিরে বাঁধিয়া রাখিয়াছে। বাল্যকালে দেখিয়াছি যেখানে এখন কৃষ্ণদাস পালের মূর্ত্তি সেইখানে পাদোদক-পিয়াসিগণ ভিড় করিতেন। এই শতকরা ৯৫ জনকে পায়ের নীচে রাখিয়া ব্রাহ্মণই আজ অধঃপতিত হইয়াছেন। নিজেদের কর্ত্তৃত্ব বজায় রাখিবার জন্য অন্যের বুদ্ধি ও স্বাধীন চিন্তা নষ্ট করিয়া যে দেশের সর্ব্বনাশ হইয়াছে তাহারই ফল আজ সমস্ত দেশকে ভোগ করিতে হইতেছে।
আজ বাঙালীর অর্থ মাড়োয়ারী লইতেছে। যদিচ এই মাড়োয়ারীগণ ৩।৪ পুরুষ এদেশে বাস করিতেছে তথাপি তাহারা মাড়োয়ারীই রহিয়া যাইতেছে। আমাদের সমাজের সঙ্গে মিশ্রিত হইবার কোন উপায় নাই। কাজেই বাঙলাদেশের কোন লাভ