হইতেছে না! ইংলণ্ডে বিদেশের লোক আসিয়া ইতিহাসের নানা সময়ে উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছে। দু’এক পুরুষ’ পরে এই সমস্ত বিদেশীই ইংরাজ হইয়া গিয়াছে। আমাদের দেশে ব্রাহ্মণ কায়স্থেরা বিক্রমপুর যাইয়া বসবাস আরম্ভ করিলেন; ব্রাহ্মণেরা কুলীন শ্রেষ্ঠ বলিয়া গণ্য হইলেন, কিন্তু কায়স্থেরা হইলেন বঙ্গজ। তাঁহাদের সঙ্গে রাঢ়ীয় কায়স্থগণের আদান-প্রদান বন্ধ হইল। আর ওদিকে ইটালী হইতে নির্য্যাতিত হইয়া ও ফ্রান্স হইতে নিপীড়িত Huguenotগণ ইংলণ্ডে আসিয়া আশ্রয় লাভ করিলেন। Lambard Streetএ বিখ্যাত Bank-গুলি এইরূপ ঔপনিবেশিক বিদেশিগণ দ্বারাই স্থাপিত হইল। পশমের (Wool) কাজে পারদর্শী কারিগরগণ আসিয়া ইংলণ্ডে উলের ব্যবসার সূত্রপাত করিলেন। বিভিন্ন দেশের লোকদিগকে আশ্রয় দিয়া ও নিজের অঙ্গে টানিয়া লইয়া ইংরাজ আজ এত বড় সমৃদ্ধিশালী জাতি। তাহার নানা ব্যবসায়ের সূত্রপাত হইয়াছে এইরূপ বিভিন্নদেশীয়দের দ্বারা। আজ সমগ্র ইংলণ্ডবাসী এক বিরাট পরিবার। নানাদেশের লোকের নানাগুণ ইংরাজ চরিত্রে তাই স্থানলাভ করিতে পারিয়াছে। আমাদের দেশে যে সকল উদ্যমী অ-বাঙালী আসিতেছেন, তাঁহারা পুরুষানুক্রমে এখানে বাস করিয়াও অ-বাঙ্গালীই রহিয়া যাইতেছেন। সুতরাং আমাদের racial type কিছুমাত্র পরিবর্ত্তিত বা উন্নত হইতেছে না।
আমাদের ভরসাস্থল ২৬ লক্ষ ব্রাহ্মণ-কায়স্থ-বৈদ্য বলিতে সকলেই শিক্ষিত এরূপ বোঝা উচিত নহে। ব্রাহ্মণের মধ্যে, আবার কত রকম আছে। কেহ ভিখারী, কেহ পূজারি, কেহ রাঁধুনি, গলদেশে উপবীত্ ও হস্তে একটি শীতলা বা ঐরূপ কিছু থাকিলেই যখন উদরান্নের সংস্থান হয়, তখন অনেক যে গণ্ডমূর্খ জুটিবে তাহার আর