বিচিত্র কি! প্রায় হাজার বৎসর পূর্ব্বের একটি উদ্ভট শ্লোক হইতে বুঝা যাইবে এ অবস্থা যে শুধু আজ হইয়াছে তাহা নয়। পুরোহিত বাক্যের উৎপত্তি সম্বন্ধে বলা হইয়াছে—পুরীষস্য ‘পু’, রোষষ্য—‘রো’, হিংসয়োঃ—‘হি’, তস্করস্য‘ত’।
সেদিন রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছেন “জাতিভেদই শ্রদ্ধানন্দের হত্যার জন্য মুখ্য ও গৌণভাবে দায়ী”—কোন কোন সংবাদপত্রে এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ হইয়াছে। যাঁহারা একটু চিন্তা করিবেন, তাঁহারা দেখিবেন ইহা কতদূর সত্য। স্বামী শ্রদ্ধানন্দের রক্তে এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত সম্যক্রূপে হইবে কি?
জাতিবিভাগ অনুসারে মানুষের গুণ ও কর্ম্মবিভাগ করা যায় না। কারণ গুণ বংশানুক্রমে সঞ্চারিত হয় না। তাহা হইলে “গুণকর্ম্মবিভাগশঃ”—এ উক্তির সার্থকতা কোথায়? ইংলণ্ড প্রভৃতি দেশে বর্ণাশ্রমধর্ম্ম নাই। Defoe কসাইপুত্র ছিলেন। Bunyan স্বয়ং পিতল-কাঁসার ঝালাই করিয়া জীবিকা অর্জ্জন করিতেন। William Carey এদেশে সেকালের একজন প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তি। তিনি এদেশে আসেন “মিশনারী” হইয়া। বিদেশী ও বিজাতি হইয়া তিনি হইলেন বাংলা গদ্য-সাহিত্যের অগ্রদূত। বাল্যকালে তিনি পাদুকা মেরামতের কার্য্য করিতেন। একবার Fort William Collegeএর সান্ধ্যভোজনে তাঁহার নিমন্ত্রণ হয়। নিমন্ত্রিত ব্যক্তিগণের কেহ Lord Wellesleyর কানে কানে বলেন, “Carey! Was he not a shoe-maker?” Carey ইহা শুনিতে পাইয়া বলেন, “Sir, you do injustice to me, I was not a shoe-maker, but a cobbler” অর্থাৎ আমি “জুতি-সেলাই” ছিলাম।
Duke, Robert of Normandy একদিন মৃগয়ায় বাহির