হইয়া এক স্রোতস্বতীর তীরে চাষার কন্যা Priscillaকে দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া তাঁহার পাণিগ্রহণ করেন। ইঁহারই গর্ভে William, the Conquerorএর জন্ম হয়। জগদ্বরেণ্য রাসায়নিক জীবাণু-বিদ্যার জন্মদাতা Pasteur ছিলেন চর্ম্মকারের পুত্র। ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক Carlyle ("Master of terse vigorous style”) রাজমিস্ত্রি-পুত্র ছিলেন। ইঁহার পিতা শেষ জীবনে কৃষিকার্য্য করিতেন। ইংলণ্ডের প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক Michael Faraday; ইঁহার সম্বন্ধে বলা হয় “Faraday is electricity and electricity is Faraday.”—Dynamo বর্ত্তমান সভ্যভার একটি স্তম্ভ বিশেষ, ইঁহারই আবিষ্কার। ইঁহার পিতা অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ব্যবসায়ে কর্ম্মকার ছিলেন। Napoleonএর সহিত যুদ্ধের সময় লণ্ডনে খুব অন্নকষ্ট হয়, কারণ, বাহির হইতে কোন খাদ্যের আমদানী হইতে পারিত না। উপরন্তু তাঁহার পিতা বড় দরিদ্র ছিলেন। সপ্তাহে ভিক্ষাস্বরূপ (dole) একখণ্ড রুটি ও জল ব্যতীত তাঁহার আর কিছুই আহারের জুটিত না! বাল্যকালে তাঁহাকে এক দপ্তরীর দোকানে কর্ম্ম করিতে হয়।
Smilesএর “Lives of British Engineers” গ্রন্থে দেখা যায় Metcalf, Telford, প্রভৃতি England এর প্রসিদ্ধ engineers অনেকেই দরিদ্রের সন্তান। তাঁহারা, আরো আশ্চর্য্যের বিষয়, প্রায় সুকলেই পল্লীবাসী,—অথচ অধ্যবসায়বলে উত্তরকালে এত প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে পারিয়াছিলেন। ইহা ঐ দেশে সম্ভব, কেননা সমাজ ব্যক্তিত্বের উপর পাষাণ চাপাইয়া মনের স্বাধীন ও স্বাভাবিক বিকাশকে পঙ্গু করে না। আমাদের দেশের ন্যায় সেখানে শূদ্রের বেদ উচ্চারণে “জিহ্বাচ্ছেদন” বা শ্রবণে তপ্ত তৈল কর্ণবিবরে প্রদান করিবার কোন বিধি ছিল না।
আমরা স্বেচ্ছানির্ম্মিত নিগড়ে নিজেরাই আবদ্ধ হইয়াছি। হিন্দু