মধ্যবিত্ত। কোন রকমে কষ্টে সৃষ্টে দিনপাত করে মাত্র। এসব কথা “অন্ন সমস্যা”য় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আমাদের দেশের যে ধনী সম্প্রদায় মাড়োয়ারী, ভাটিয়া, দিল্লীওয়ালা—সাহা, তিলি, গন্ধবণিক, সুবর্ণবণিক তাদের সঙ্গে আমাদের সহানুভূতি আছে কি? ভবানীপুর ব্রাহ্মসমাজেও গত শুক্রবার বলেছি যে আমাদের মধ্যে সহানুভূতির বড়ই অভাব। স্বর্গীয় দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী মহাশয় “অবলা বান্ধবে” প্রথমে এই কখাটী ব্যবহার করেন—শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় সহ+অনুভূতি ব’লে ইহার ব্যাখ্যা করেন। সমস্ত জাতির ভিতর বৈদ্যুতিক প্রবাহের মত একটা অনুভূতি সমানভাবে বহিয়া গেলেই তাকে বলে সহানুভূতি। কিসের দ্বারা সহানুভূতির বিস্তার হয়? কিসে all the people can think alike—সকল লোক একভাবে ভাবতে, চিন্তা কর্তে পারে! আমাদের দেশের অবস্থা হচ্ছে এই যে এদের কাছে আবেদন কর্লে, এরা কিছু বুঝতে পারে না। বঙ্গের অঙ্গচ্ছেদ—সে আজ ১৭।১৮ বৎসরের কথা—সে সময়ে কয়েক লক্ষ শিক্ষিত বাঙালী আন্দোলন কর্লে—নিরক্ষর অশিক্ষিত বাকী ৪।৫ কোটী লোক—যারা দেশের কথা ভাবতে পারে না,—স্বদেশী আন্দোলনের মর্ম্ম বুঝ্তে পারে না—বাবুরা কেন দেশী কাপড় পর্তে খোসামুদি করে, বাবুদের খোসামুদি করতে দেখে তারা সব হেসে উড়ায়ে দিতে লাগ্ল। তাই বলি দেশের ক’জন লোক আজ দেশের কথা ভাব্তে শিখেছে।
বাংলা দেশে উচ্চ শ্রেণীর হিন্দুর সংখ্যা কত? আমি অনেকবার বলেছি—বাংলা দেশের পৌণে ৫ কোটী অর্থাৎ ৪৭৫ লক্ষ লোকের মধ্যে আমরা ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈদ্য মাত্র ২৭ লক্ষ। ব্রাহ্মণ কায়স্থ প্রায় সকলে সমান—২৬ লক্ষ আর বৈদ্য ১ লক্ষের কিছু কম। এই ২৬।২৭ লক্ষ