পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩৪ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী মস্তিষ্কের ভিতর সব water-tight compartments—zirists: জীবনে বিস্তার সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ নাই—বিদ্যা শুধু বক্তৃতা দিবার জন্ত-দিল্লী এসেমরীতে জালাময়ী ভাষায় বক্তৃতা দিবার জন্য । অনেক বক্তাকে আমি জানি, তাহারা জাতিভেদের বিষময় ফল সম্বন্ধে লস্ক। গলায় বক্তৃত করেন কিন্তু কাজের বেলা সমাজে ঘোরতর গোড় হয়ে উঠেন—তাদের লিষ্ট আমার নিকট আছে । মান্দ্রাজে ব্রাহ্মণ অব্রাহ্মণের অহিনকুলের সম্পর্ক—Madras Ministry হইতে ব্রাহ্মণদের বিতাড়িত করেছে--অব্রাহ্মণদের নিজেদের Justice বলে একখানা কাগজও আছে। ব্রাহ্মণ অব্রাহ্মণদের ভেতর হিংসা দ্বেষের অস্ত নাই— খুব রেষারেষি চলছে—সে হিসাবে বাংলাদেশ–রামমোহন কেশবচন্দ্র বিবেকানন্দের দেশ ত স্বর্গ। - গত একৃটােবর মাসে বক্তৃতা দিতে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিমন্ত্রিত হয়েছিলাম। অমরাবতীতে অস্পৃশু জাতদের দেখেছি— বেরারে মারাঠাদের দেশে—মারাঠা মানে শূদ্র । তথায় তুলোর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় রায়তারী বন্দোবস্তের দৌলতে যোতদারর। বছরে ১০১২ হাজার টাকা আয় করেন । এই অনুন্নত ধনী সম্প্রদায়ের আবেদন ও মর্ম্মবেদনা শুনলে পাষাণও বিগলিত হয়ে যায়। তার নিজের স্কুল করেছে—অজ্ঞান অন্ধকার অমানিশার মতই ঘন—তারা জাগ্রত হচ্ছে--হৃদয়ে রোষ হিংসা দ্বেষ পোষণ করে নিজেদের অবস্থা উপলব্ধি করিতেছে—নিজেদের লোক নাই—মান্দ্রাজ হইতে পিলাই নাইডু প্রভৃতিদের ডেকে এনে সভাপতি করছে। ব্রাহ্মণদের প্রতি ভয়ঙ্কর বিদ্বেষ। অমরাবতীতে মুসলমান সংখ্যা খুব কম, ভেবে ছিলাম জাতি গঠনের অনেক হুবিধা হবে ওখানে। তা নেতাদের হৃদয়েও ব্রাহ্মণদের উপরে গাঢ় বিদ্বেষ । নাগপুলে মাহার অস্ত্যজ বলে