মস্তিষ্কের ভিতর সব water tight compartments—প্রাত্যাহিক জীবনে বিদ্যার সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ নাই—বিদ্যা শুধু বক্তৃতা দিবার জন্য—দিল্লী এসেমব্লীতে জ্বালাময়ী ভাষায় বক্তৃতা দিবার জন্য। অনেক বক্তাকে আমি জানি, তাঁহারা জাতিভেদের বিষময় ফল সম্বন্ধে লম্বা গলায় বক্তৃতা করেন কিন্তু কাজের বেলা সমাজে ঘোরতর গোঁড়া হয়ে উঠেন—তাদের লিষ্ট আমার নিকট আছে। মান্দ্রাজে ব্রাহ্মণ অব্রাহ্মণের অহিনকুলের সম্পর্ক—Madras Ministry হইতে ব্রাহ্মণদের বিতাড়িত করেছে—অব্রাহ্মণদের নিজেদের Justice বলে একখানা কাগজও আছে। ব্রাহ্মণ অব্রাহ্মণদের ভেতর হিংসা দ্বেষের অন্ত নাই— খুব রেষা রেষি চল্ছে—সে হিসাবে বাংলাদেশ—রামমোহন কেশবচন্দ্র বিবেকানন্দের দেশ ত স্বর্গ।
গত অক্টোবর মাসে বক্তৃতা দিতে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্ত্তৃক নিমন্ত্রিত হয়েছিলাম। অমরাবতীতে অস্পৃশ্য জাতদের দেখেছি—বেরারে মারাঠাদের দেশে—মারাঠা মানে শূদ্র। তথায় তূলোর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় রায়তারী বন্দোবস্তের দৌলতে যোতদাররা বছরে ১০।১২ হাজার টাকা আয় করেন। এই অনুন্নত ধনী সম্প্রদায়ের আবেদন ও মর্ম্মবেদনা শুন্লে পাষাণও বিগলিত হয়ে যায়। তারা নিজেরা স্কুল করেছে—অজ্ঞান অন্ধকার অমানিশার মতই ঘন—তারা জাগ্রত হচ্ছে—হৃদয়ে রোষ হিংসা দ্বেষ পোষণ করে নিজেদের অবস্থা উপলব্ধি করিতেছে—নিজেদের লোক নাই—মান্দ্রাজ হইতে পিলাই নাইডু প্রভৃতিদের ডেকে এনে সভাপতি কর্ছে। ব্রাহ্মণদের প্রতি ভয়ঙ্কর বিদ্বেষ। অমরাবতীতে মুসলমান সংখ্যা খুব কম, ভেবে ছিলাম জাতি গঠনের অনেক সুবিধা হবে ওখানে। তা’ নেতাদের হৃদয়েও ব্রাহ্মণদের উপরে গাঢ় বিদ্বেষ। নাগপুরে মাহার অন্ত্যজ বলে