men”— ইসলাম ধর্ম্ম মানুষের সহিত মানুষের মোটেই প্রভেদ রাখে না—বাদসা আমীর ওমরাহ হইতে মুটে মজুর সকলেই এক মসজিদে উপাসনা করে—এক পাত্রে আহার করবার অধিকারী। যে দিন ইসলামধর্ম্ম গ্রহণ করা যায় সেই দিন হইতে সমাজে এক পদবী লাভ, একত্র আহার বিহার, বিবাহ আদান প্রদান প্রভৃতি চলে। খৃষ্টধর্ম্ম হইতেও ইস্লাম ধর্ম্ম এবিষয়ে উদার এবং অগ্রসর।
মুসলমানেরা হিন্দুদের শুদ্ধি ও সংগঠন আন্দোলনে একটু চঞ্চল হয়ে উঠেছেন কিন্তু আমি তাদের বল্ছি, পাঁচশত শ্রদ্ধানন্দ এলেও পাঁচ জন মুসলমানকে হিন্দু কর্তে পার্বেন না—মোছলমানরা কিছুতেই হিন্দু হবে না—আমি জানি অনেক হিন্দু বিধবা কলঙ্কময় জীবন যাপন করা অপেক্ষা ইসলাম ধর্ম্ম গ্রহণ করিয়া উদ্বাহসূত্রে আবদ্ধ হওয়া শ্রেয় জ্ঞান করেন। হিন্দু সমাজে স্বামী অনায়াসে স্ত্রীকে ত্যাগ করে, পুনরায় বিবাহ কর্ত্তে পারেন—স্ত্রীর আর কোনো উপায় থাকে না। ইসলামধর্ম্মগ্রহণ কর্লে বিবাহ বন্ধন খণ্ডন করা যায়—ঘরের ভিতর কত বিবাদ কত গলদ, ভাব্লে বিস্ময়ে অবাক হয়ে যেতে হয়।
জাতির প্রয়োজনে টাকা পাই না—কারণ হচ্ছে পাপের প্রায়শ্চিত্ত—জাতিভেদের বিষময় ফল, আমরা এখন ভোগ করছি। মাড়োয়ারীদেরও বাঙালী বল্তে হবে—এক হিসেবে তারাও বাঙালী বৈ কি—বাংলায় বসবাস করিতেছে—মাড়োয়ারী is making his piles—মাড়োয়ারী টাকা করতে ব্যস্ত। সাহা, তিলি, সুবর্ণবণিক, গন্ধবণিকেরাও ঐ পথের পথিক। মহারাজা স্যার মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর মত দুই একজন লোক—তাঁরা হচ্ছেন— exceptions proving the rule. আর তিলি, সাহা, সুবর্ণবণিক, কংসবণিক, গন্ধবণিক এদের ভিতর শতকরা ক’জনই বা শিক্ষিত?