জগৎবিখ্যাত—Saha’s Law এর কথা সকলেই জানে—কোথায় দুর্নিরীক্ষ্য নক্ষত্র কি উপাদানে তা গঠিত, সুপ্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিকেরা যাহা যুগযুগান্তর ধরে নির্ণয় করে উঠ্তে পারে নি, আজ Saha’s equation এ সেই সমস্ত সূক্ষ্ম তত্ত্ব উদ্ঘাটিত হয়েছে। ভাবুন দেখি জাতিটা আজ কত বড় হইত যদি এই ৫ কোটী লোকের ভেতর সমান মস্তিষ্ক চালনা হইত। প্রেসিডেণ্ট উইলসন তাঁর New Freedom নামক পুস্তকের এক স্থানে আমেরিকার বিশেষত্ব সম্বন্ধে বলছেন যে সে দেশের রাস্তার মুটে পর্য্যন্ত প্রেসিডেণ্ট হবার আশা পোষণ করতে পারে—আজ যে মুটে মজুর, কাল সে রাষ্ট্রনায়ক হইবে, কেউ আট্কে রাখতে পারবে না; ওদের দেশেই “From Log Cabin to White House” সম্ভব হয়। ওরা শ্রমের মর্য্যাদা বোঝে—কৃষক, শ্রমজীবী, খানসামা, মুটে, মজুর শীতকালে কলেজে পড়ে—রকফেলারের মত কোটীপতির ছেলের সাথে এক সঙ্গে একত্র পড়ছে—এক মেসে থাকে কেউ কাকে ঠাট্টা বিদ্রূপ করবার জো নাই—যদি করে সকলে তাকে ill-bred অভদ্র বলে বিতাড়িত করে দেয়। আমেরিকা কত বড় জাতি—Dignity of labour কত? আর আমাদের দেশে আমরা শ্রমের মর্য্যাদা বুঝি না—একটা মাছ কিনে হাতে করে আন্তে পারিনা—আট আনায় ইলিস মাছ কিনে দুই আনা দিতে হয় মুটে ভাড়া— নিজেরা সাহস করে মাছটা হাতে করে আনতে পারি না।
জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা প্রভৃতি সম্বন্ধে অনেক কথাই বলেছি। ইংলণ্ডের কথা ধরুন—নরম্যানরা ইংলণ্ড দখল করে বিজিত স্যাকসনদের সমস্ত জমাজমি কেড়ে নিয়ে Deer Park মৃগয়া ক্ষেত্র করে কত রকম অত্যাচার করেছে। William the Conqueror এর সময় হইতে “Down with the Saxons”, “Down with the Normans”