বিদ্যাশিক্ষা ও নরহিতের জন্য ন্যূনাধিক ১৫০ কোটী টাকা দান করেছেন। মান্সিন্ আট মিলিয়ন পাউণ্ড অর্থাৎ ১২ কোটী টাকা আর্ট ও কালচারের জন্য ব্যয় করেছেন। জনহিত কর কাজে যাতে কুসংস্কার বিদূরিত হবে এমন কল্যাণকর কাজে দেশহিতের জন্য অজস্র অর্থ ব্যয় করেন আমেরিকার ধনী সম্প্রদায়।
আর আমাদের দেশে আমরা আমাদের পূর্ব্ব পুরুষের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিতেছি—আমরা মধ্যবিত্তেরা ত লক্ষ্মীছাড়া। যাদের ঘরে লক্ষ্মী আশ্রয় নিয়েছেন সেই মাড়োয়ারী—মাড়োয়ারীদের কথা বল্তে আমি বাধ্য, না বল্লে অকৃতজ্ঞ হতে হবে। খাইতে পায়না, পরের দুঃখ কষ্ট শুনিলে দয়ায় তাদের হৃদয় বিগলিত হয়। পিঞ্জরাপোলই করুক আর মন্দিরই তুলুক, তাদের হৃদয় আছে। সাহা, তেলী, সুবর্ণবণিক প্রভৃতির সহানুভূতি লাভে আমরা বঞ্চিত। ঐ সব ব্যবসায়ীদের মধ্যে যদি সমান ভাবে লেখাপড়ার বিস্তার হইত তবে দেশের কাজে ওদেরও সাড়া পাওয়া যাইত।
বিগত শতাব্দীর সত্তরের কোটা পর্য্যন্ত আমাদের ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়গণের ন্যায় জাপানের সামুরাই জাতি সমস্ত সুবিধা একচেটিয়া করে রেখেছিল। সামুরাইরা জাপান জাতির মস্তক স্বরূপ, আমাদের দেশে যেমন ব্রাহ্মণ। ১৮৫৩ সালে যেদিন কমোডোর পেরী জাপানের তীরে এসে কামান পেতে অবাধ বাণিজ্যের দাবী করে বস্ল, সেদিন জাপানের চোখ্ ফুটল—জাপানীরা অবশ্য, তীর ধনুক নিয়ে বাধা দিতে দণ্ডায়মান হয়েছিল। কিন্তু ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে জাপানের Feudal System এর অবসান হ’ল—অভিজাত সম্প্রদায় স্বেচ্ছায় সমস্ত প্রভুত্ব, সম্রাটের পদতলে বিসর্জ্জন দিলৈন। সামুরাই Nobility—আমাদের যেমন ব্রাহ্মণ কায়েস্থ বৈদ্য—সমস্ত অলঙ্ঘনীয় ব্যবধান তুলে দিল। সমস্ত