পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালীর মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যবহার , 이 অগ্রাহ করিয়া ঘোষণা করিলেন —“কতিপয় প্রতারক ধূর্তের বেদ স্বষ্টি কুরিয়া তাহাতে স্বর্ণ নরকাদি নানাপ্রকার অলৌকিক পদার্থ প্রদর্শন করতঃ সকলকে অন্ধ করিয়া রাখিয়াছে এবং তাহারা স্বয়ং ঐ সকল বেদবিধির অনুষ্ঠান করতঃ জনসমাজের প্রবৃত্তি জন্মাইয়াছে এবং রাজা-- দিগকে যাগাদিতে প্রবৃত্ত করাইয় তাহাদিগের নিকট হইতে বিপুল অর্থলাভ করিয়া, স্বীয় স্বীয় পরিজন প্রতিপালন করিয়াছে। তাহাদিগের অভিসন্ধি বুঝিতে না পারিয়া উত্তরকালীন লোকসকল ঐ সমস্ত বেদোক্ত কার্য্য অনুষ্ঠান করাতে, বহুকাল অবধি এই প্রথা” প্রচলিত হইয়া আসিতেছে। বৃহস্পতুি কহিয়াছেন, অগ্নিহোত্র, বেদাধ্যয়ন, দণ্ডধারণ ভস্মগুণ্ঠন, এই সমস্ত বুদ্ধি পৌরুযুহীন ব্যক্তিদিগের উপজীবিকা মাত্র। বেদে লিখিত আছে, পুত্রেষ্টাগ করিলে পুত্র জন্মে, কার্যকীযাগ করিলে বৃষ্টি হয়, তেনযাগ করিলে শত্রুনাশ হয়। তদনুসারে অনেকেই ঐ সকল কর্ম্মের অনুষ্ঠান করিতেছেন, কিন্তু কোন ফলই দৃষ্ট হইতেছে না—এক স্থানে বিধি আছে সূর্য্যোদয় হইলে অগ্নিহোত্র যাগ করিবে, অন্য স্থানে কহিতেছে সুর্য্যোদয়ে হোম করিবেক না, যে ব্যক্তি সুর্য্যোদয়ে হোম *করে, তাহার প্রদত্ত আহুতি রাক্ষসের ভোগ্য হয় । এইরূপে বেদে অনেক বাক্যের পরস্পর বিরোধ দৃষ্ট হইয় থাকে এবং উন্মত্ত প্রলাশ্বের ন্যায় এক কথার পুনঃ পুন: উল্লেখও দেখিতে পাওয়া যায়। যখন এই সমস্ত দোয় দেখা যাইতেছে তখন কি প্রকারে ,বেদের প্রামাণ্য স্বীকার করা যাইতে পারে? অতএব স্বৰ্গ, অপবর্গ ও পারলৌকিকু আত্মা স্লমন্তই মিথ্যা এবং ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়াদির ব্রহ্মচর্যাদির চারি আশ্রমের কর্ত্তব্য কর্ম্মসকল নিস্ফল। ফলতঃ অগ্নিহোত্র প্রভৃতি কর্ম্মসকল অবোধ ও অক্ষম ব্যক্তিদিগের জীবনোপায় মাত্র ; ধূর্তের কহিয়া থাকে যে, জ্যোতিষ্টোমাদি যজ্ঞে যে জীবের ছেদন হইয়া থাকে সে স্বর্গলোকে গমন