পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী করে। যদি ঐ ধূর্ত্তদিগের ইহাতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস থাকে, তবে তাহার। যজ্ঞেতে আপন আপন পিতা মাত প্রভৃতির মস্তক ছেদন না করে কেন ; তাহা হইলে অনায়াসে পিতা মাতা প্রভৃতির স্বৰ্গলাভ হইতে পারে এবং তাহাদিগকে আঁর পিতা মাতার স্বর্গের নিমিত্ত, শ্রাদ্ধাদি করিয়া বুথ। কষ্টভোগ করিতে হয় না। আর শ্রাদ্ধ করিলে যদি মৃত ব্যক্তির তৃপ্তি হয়, কোন ব্যক্তি বিদেশে গমন করিলে তাহাকে পাথেয় দিবার প্রয়োজন কি? বাটাতে তাহাবু উদেশে কোন ব্রাহ্মণকে ভোজন করাইলেই তাহার তৃপ্তি জন্মিতে সুরে । অপিচ এইস্থানে শ্রাদ্ধ করিলে স্বর্গস্থিত ব্যক্তির-তৃপ্তি হয়, তবে অঙ্গনে শ্রাদ্ধ করিলে প্রাসাদোপরিস্থিত ব্যক্তির তৃপ্তি না হয় কেন ? যাহাতে কিঞ্চিমুচ্চস্থিতের তৃপ্তি না হয় তবে তদ্বার। অত্যুচ্চ স্বর্গস্থিত ব্যক্তির তৃপ্তি কি প্রকারে সম্ভব হইতে পারে? অতএব মৃত ব্যক্তির উদেশে যে সমস্ত প্রেতকৃত্য স্বহুষ্ঠিত হইয় থাকে তাহ ব্রাহ্মণদিগের, উপজীবিক মাত্র, বস্তুতঃ কোন ফলোপধায়ক নহে " ( সর্ব্বদর্শন সংগ্রহ--জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চানন কৃত অনুবাদ ) । সেই সময়ে স্বাধীন চিন্তা কতদূর উচ্চশিখরে আরোহণ করিয়াছিল তাহ চার্ব্বাক-দৰ্শন আলোচনা করিলেই বুঝা যায়। তাহার পর বৌদ্ধ-* ধর্ম্মের প্রচারে সাম্য, মৈত্রী ও বিশ্বজনীন ভ্রাতৃভাব ভারতের সর্বত্র ঘোষিত হইল। তাহার ফলে জ্ঞানোন্নতির পথ সর্ব্বসাধারণের পক্ষে উন্মুক্ত হওয়ায়, সর্ব্বশাস্ত্রের সম্যকু আলোচনা আরম্ভ হইয়াছিল। বিশেষত: বৌদ্ধগণ-রসায়ন ও চিকিৎসা শাস্ত্রের যথেষ্ট উন্নতি সাধন করিয়াছিলেন - এক নাগার্জনের নাম করিলেই যথেষ্ট হইবে । ইনি স্থশ্রততন্ত্র পরিবর্কিত ও নূতন আকারে প্রণয়ন করিয়াছিলেন বলিয়া প্রবাদ আছে ৬ , * "History of Hindu chemistry," introduction, va i zna. edițion, Page XXIV.