আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্রের নাম বাংলা দেশের সর্ব্বত্র সুপরিচিত। বাংলাদেশের ছাত্রবৃন্দ তাঁহাকে দেবতাজ্ঞানে শ্রদ্ধা ও ভক্তি করিয়া থাকে। তাঁহার জ্ঞানগরিমা, অসাধারণ বিজ্ঞান-চর্চ্চা, দেশ হিতৈষণা, সর্ব্বোপরি তাঁহার ঋষিকল্প চরিত্র, কোমল এবং প্রেমিক হৃদয় দেশবাসীকে গুণমুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছে। তিনি ছাত্র সমাজের একাধারে গুরু, বন্ধু ও সহায়। জাতীয় শিল্পের উন্নতির জন্য তাঁহার অসীম উদ্যম, দেশহিত-ব্রতে তাঁহার অনাড়ম্বর ও কঠোর স্বার্থত্যাগ, সমাজের কল্যাণে তাঁহার আজীবন চেষ্টা, বিজ্ঞান-চৰ্চ্চার প্রতিষ্ঠাকল্পে তাঁহার অসাধারণ উদ্যম ও উৎসাহ—ইহা কিছু নূতন করিয়া আজ আর বলিবার আবশ্যক আছে মনে করিনা। যাহাতে তাঁহার জীবনের আদর্শ ও উপদেশাবলী দেশের ভবিষ্যৎ যুবকসম্প্রদায়ের পক্ষে পথ-প্রদর্শক হইতে পারে, তাহাদিগকে দেশমাতৃকার সেবা ও মঙ্গলব্রতে অনুপ্রাণিত করিতে পারে, সমাজের কলঙ্ক অপনোদন পূর্ব্বক সমাজকে স্থিতিশীল ও প্রতিষ্ঠাবান করিবার উপায় নির্দেশ করিতে পারে—এই মহৎ উদ্দেশ্যেই আমরা আচার্য্যদেবের বহুবিধ সারগর্ভ প্রবন্ধ ও বক্তৃতারাজির একত্র সমাবেশ করিয়া সাধারণে প্রকাশ করিবার জন্য সচেষ্ট হইয়াছি। দুই চারিটি ভিন্ন অধিকাংশ প্রবন্ধই আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্রের বক্তৃতার সারাংশ এবং বিভিন্ন বক্তৃতা-লেখক (Reporter) কর্ত্তৃক সংগৃহীত। অতএব প্রবন্ধগুলিতে কিছু কিছু পুনরুক্তি দোষ ঘটা স্বাভাবিক। আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র তাঁহার বহুমুখী