পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৪ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী মোকদম, বিবাদ বিসংবাদ কুড়াইতে ব্যস্ত । গ্রাম হইতে নৈতিক বা অর্থ-নৈতিক উন্নতি একেবারে তিরোহিত হইয়াছে। জমীদার ও শিক্ষিত লোকমাত্রই দেশত্যাগী বলিয়া প্রাচীন কালের বড় বড সরোবর প্রায় মজিয়া আসিতেছে । জল-নিঃসরণের পথ ও জঙ্গল কাটার অভাবে ম্যালেরিয়া, কলেরা প্রভৃতি ভীষণ আকার ধারণ করে । এই খুলনারই কয়েকটি গ্রামে ঘুরিয়া খবর পাইলাম যে, বন্ত শূকরের অত্যাচারে কৃষিকর্ম্ম করা দায় ; বিশেষতঃ আলু-কচুর চাষ অসাধ্য হইয়া দাঁড়ায় । এই ত দেশের অবস্থা ; অথচ দেশে টাকা ছড়ান রহিয়াছে , বিদেশীরা আসিয়৷ ইহা মুঠো মুঠে কুড়াইয় লইয়া যাইতেছে । সামান্য দুই একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি ; তাহ সাতক্ষীরার লোক বুঝিবেন । খুলনার সদর ও সাতক্ষীরা মহকুমার দক্ষিণ ভাগে 'নোনা গাঙ্গে অনেক স্থানে ঘুসো চিংড়ী ধরিবার খট আছে । এই সমস্ত নদীর জল কর আমাদের ; যে জেলেরা এই মাছ ধরে, তাহারাও আমাদের প্রজ ; যেখানে মাছ শুকায়, সে-ও আমাদের নিজের জমী। অথচ বাল্যকাল হইতে দেখিতেছি, বোম্বাই অঞ্চলের নাখোদা বণিকৃগণ এই জেলেদিগকে বড় বড় ডেক্‌চ কিনিয়া দেয় ও টাকার দাদন দেয় এবং শুকুনা মাছ প্রচুর পরিমাণে বিদেশে রপ্তানী করে । কিন্তু আমরা কি এতই অৰ্কৰাচীন যে, এই ঘরের জুয়ারে ষে ব্যবসাটা চলিতেছে এবং যাহা হইতে বিদেশীরা লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করিতেছে, তাহা হইতে আমরা সামান্ত জলকর ভিন্ন আর কিছুই পাই না? আর একটি দৃষ্টান্ত দিই, আপনারা সকলেই জানেন যে, কপোতাক্ষতীরবর্তী এই সাতক্ষীরা মহকুমারই অন্তভূক্ত বড় দলে’র বিরাট হাট আছে, এখানে বৎসরে লক্ষ লক্ষ টাকার মাল আমদানী-রপ্তানী হয় । কিন্তু ইহার প্রধান লভ্যাংশ মাড়োয়ারীগণ