খুলিব।” ইহা অতি উত্তম চেষ্টা সন্দেহ নাই, কিন্তু আমার মনে হয়, এ বিষয়ে পাশ্চাত্যদেশের রীতি সুপ্রশস্ত। বাণিজ্য ব্যবসায়েচ্ছু যুবকগণ প্রথমতঃ কোন শিল্পশালা, কি দোকানে শিক্ষানবীশ (apprentice) হইয়া কিছুকাল যাপন করুন। এই সময়ে অবিশ্রান্ত পরিশ্রম ও একাগ্রতার সহিত কর্ম্ম করিয়া ব্যবসায় কিংবা শিল্প সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অবগত হউন, তৎপরে স্বীয় অর্থেই হউক, কি যুক্তভাণ্ডার খুলিয়া কার্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হউন। ইহাতে কৃতকার্য্যতা প্রায় এক প্রকার নিশ্চিত হইয়া থাকে। কিন্তু এদেশে নবযুবকগণ বহু অর্থ ও চসমা, চুরুট, চা ও চেন লইয়া বাজারে অবতীর্ণ হন। এই সকল যুবক দুগ্ধফেননিভ শয্যায় লালিত পালিত, পিতা, মাতা, ভ্রাতা, বন্ধুর, কখনও বা নবপরিণীতা ভার্য্যার স্নেহরসে সিক্ত ও পরিবর্দ্ধিত। এই সুখময় কল্পনার জীবন হইতে সহসা সংসারের কঠিন কর্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়া, উহারা চতুর্দ্দিক অন্ধকার দেখিতে থাকে, কৃত্রিম বন্ধু ও ব্যবসায়ীর উপর বিশ্বাস স্থাপন করিয়া শীঘ্রই বাইবেল উক্ত যুবকের ন্যায় (prodigal son) পিতার চরণে উপস্থিত হয়। বস্তুতঃ এতাবৎকালের মধ্যে কতিপয় ভদ্র যুবক ব্যবসায় আরম্ভ করিয়াছেন সত্য, কিন্তু অপেক্ষাকৃত অল্পশিক্ষিত কি অশিক্ষিত দোকানদারের প্রতিযোগিতায় তাহাদিগকে দোকানপাট গুটাইতে হইয়াছে। শিক্ষিতের দোকানে ও সাধারণ দোকানে কিঞ্চিৎ প্রভেদ আছে।
সাজ সজ্জার চটক, আলো, টেবলক্লথ ইত্যাদির বাহার ছাড়িয়া দিলেও, দোকানের তত্ত্বাবধান, সম্যক্রূপে না হওয়ায় কর্ম্মচারীর উপর বিশ্বাস ন্যস্ত করিয়া, স্বয়ং দোকান পরিত্যাগ করিয়া ময়দানে ক্রিকেট ক্রীড়ায় ব্যস্ত থাকার দরুণই অধিকাংশ যুবক ব্যবসায়ে অকৃতকার্য্য হইয়া থাকেন। যাহা হউক এক্ষণে আমাদের যুবকগণের বণিক-জীবনের