পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৬ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী ক্ষেত্রে বাঙালীকে রক্ষা করতে পারলে না । বাঙালী হটে গেল ; ব্যবসা গেল, বাণিজ্য গেল, হোস গেল ; তারপর চাকুরীও আর মেলে না। প্রয়োজনের সঙ্গে আয়োজনের সামঞ্জস্য রইল না—পাশ করা ছেলের ংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে লাগল, কিন্তু সে পরিমাণে অজস্র চাকরী স্বষ্টি হল না । তাই বাঙালী এখন দরিদ্র, রোগগ্রস্ত ; মধ্যবিত্তের আজ, আন্নসমস্যা, অস্তিত্ব-সঙ্কট উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু মোহ ঘুচেছে কি ? বাঙালীযুবকের বুদ্ধি, কল্পনা ও কর্ম্মশক্তি আজ এমনই আড়ষ্ট হয়ে উঠেছে যে কেরানীগিরি, মাষ্টারী বা ওকালতী ছাড়া দুনিয়ায় যে অন্য পথ আছে এ কথা সে ভাবতে পারে না, ভাবতে গেলে অনিশ্চিতের আশঙ্কায় সে অতিমাত্র ভীত হয়ে উঠে । তাই তারা আজও কলেজে পড়ছে আর পাশই করছে। - w শিক্ষা সকলেরই চাই। ইংলণ্ড, আমেরিকা, জার্ম্মেনী, জাপান প্রভৃতি দেশে আপামর সাধারণের মধ্যে যে-প্রকার শিক্ষার বিস্তার হয়েছে তার তুলনায় আমরা যে কোথায় পড়ে আছি তার স্থিরতাই \হয় নাই । কিন্তু শিক্ষার অর্থ কি শুধু ডিগ্রী নেওয়া ? বিলাতের ম্যাটি কুলেশান এদেশের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার প্রায় কাছাকাছি । সেখানে ম্যাটিক পাশ ক’রে শতকরা ১০। ১৫ জন ছাত্র কলেজে প্রবেশ করে । বাকী কোথা যায় ? তারা অবশু উদ্বন্ধনে প্রাণত্যাগ করে ন৷ অথবা সমুদ্রে ঝাপ দেয় না। তারা ব্যবসা-বাণিজ্যের বিবিধ ক্ষেত্রে নানারূপে শিক্ষানবিশী আরম্ভ করে এবং হাতে-কলমে কাজ শিখে ভবিষ্যতে প্রায় সকলেই কাজের লোক হয়ে উঠে । কিন্তু এদেশে ম্যাটিক পাশ ক’রে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারলে যুবকগণ ভাবেন জীবনটা একেবারে নষ্ট হয়ে গেল । * তারপর আই-এ পাশ করলে বি-এ পড়তে হবে, আই-এসসি পাশ করলে বি-এসসি ; নইলে