ক্ষেত্রে বাঙালীকে রক্ষা করতে পার্লে না। বাঙালী হটে গেল; ব্যবসা গেল, বাণিজ্য গেল, হৌস্ গেল; তারপর চাক্রীও আর মেলে না। প্রয়োজনের সঙ্গে আয়োজনের সামঞ্জস্য রইল না—পাশ করা ছেলের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে লাগল, কিন্তু সে পরিমাণে অজস্র চাক্রী সৃষ্টি হল না। তাই বাঙালী এখন দরিদ্র, রোগগ্রস্ত; মধ্যবিত্তের আজ অন্নসমস্যা, অস্তিত্ব-সঙ্কট উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু মোহ ঘুচেছে কি? বাঙালীযুবকের বুদ্ধি, কল্পনা ও কর্ম্মশক্তি আজ এমনই আড়ষ্ট হয়ে উঠেছে যে কেরানীগিরি, মাষ্টারী বা ওকালতী ছাড়া দুনিয়ায় যে অন্য পথ আছে এ কথা সে ভাবতে পারে না, ভাবতে গেলে অনিশ্চিতের আশঙ্কায় সে অতিমাত্র ভীত হয়ে উঠে। তাই তারা আজও কলেজে পড়্ছে আর পাশই কর্ছে।
শিক্ষা সকলেরই চাই। ইংলণ্ড, আমেরিকা, জার্ম্মেনী, জাপান প্রভৃতি দেশে আপামর সাধারণের মধ্যে যে-প্রকার শিক্ষার বিস্তার হয়েছে তার তুলনায় আমরা যে কোথায় পড়ে আছি তার স্থিরতাই হয় নাই। কিন্তু শিক্ষার অর্থ কি শুধু ডিগ্রী নেওয়া? বিলাতের ম্যাট্রিকুলেশান এদেশের ইণ্টারমিডিয়েট পরীক্ষার প্রায় কাছাকাছি। সেখানে ম্যাট্রিক পাশ ক’রে শতকরা ১০।১৫ জন ছাত্র কলেজে প্রবেশ করে। বাকী কোথা যায়? তারা অবশ্য উদ্বন্ধনে প্রাণত্যাগ করে না অথবা সমুদ্রে ঝাঁপ দেয় না। তারা ব্যবসা-বাণিজ্যের বিবিধ ক্ষেত্রে নানারূপে শিক্ষানবিশী আরম্ভ করে এবং হাতে-কলমে কাজ শিখে ভবিষ্যতে প্রায় সকলেই কাজের লোক হয়ে উঠে। কিন্তু এদেশে ম্যাট্রিক পাশ ক’রে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ কর্তে না পার্লে যুবকগণ ভাবেন জীবনটা একেবারে নষ্ট হয়ে গেল। তারপর আই-এ পাশ কর্লে বি-এ পড়তে হবে, আই-এস্সি পাশ করলে বি-এস্সি; নইলে