পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী এবং অল্প বেতনে বা বিনা বেতনে কোন চলতি কারবারে শিক্ষানবিশী করা । মিষ্টার জে, সি, ব্যানার্জি কলকাতার একজন খুব বড় কণ্টাক্টর। তিনি দুবার ওভারসিয়ারি ফেল ক’রে কলেজ থেকে তড়িত হবার পর শুধু আত্মচেষ্টায় অতি সামান্ত অবস্থা থেকে কত বড় হয়েছেন! এমন যুবক নেই যিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলে কৃতকার্য্য হতে ন পারেন। এখন আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত “মন্ত্রের সাধন কিম্বা শরীর পতন ।” আমাদের দেশের লোকে শ্রমের মর্য্যাদা (Dignity of Labour) বুঝেন না। একটা ইলিশ মাছ কিনে মুটে খোজেন, নহিলে সন্ধ্যার পর এদিক ওদিক চেয়ে মাছটা হাতে ক’রে লুকিয়ে বাড়ী আসেন। বেঙ্গল কেমিক্যাল ওয়ার্কস্ যখন খোলা হয় তখন আমার একজন বিশিষ্ট বন্ধু আড়ালে ঔষধ তৈরী ক’রে আড়াল থেকে বেচ তে পরামর্শ দেন । যাহোক শ্রমের মর্য্যাদা আমাদের এখন স্বীকার করতেই হবে। এখন ব্যবসা চাই, অন্নসংস্থানের নূতন নূতন পথ উন্মুক্ত না করলে আর চলবে না, নাস্তি গতিরন্যথা । ব্যবসা সম্পর্কে বাংলাদেশে পাটের কথা আগে মনে হয়। পাট জন্মায় শুধু বাংলায়। সিরাজগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রভৃতি স্থানে পাটের খুব \বড় বড় আড়ত আছে। কিন্তু আমরা সে দিকে তাকাই না। দেশের উৎপন্ন দ্রব্য থেকে সেই দেশের লোকে যে সহজে টাকা রোজগার করতে পারে এ ধারণা আমাদের স্পষ্ট হয় না। আমরা অপদার্থ। ছেলে পাশ হবার পর তার চাকুরীর জন্য ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে গিয়ে nomination চাই, তাকে শত অনুনয় করি, তার পায়ে খাটি (তাও আর মেলে না ) সরিষার তেল মর্দন করি। পনেরো টাকার নকলনবীশির জন্য সাহেবের বড়বাবু ও তার অফিসের পেয়াদার খোসামুদি ক’রে ছ মাস কাটাতে আমাদের লজ্জাবোধ হয় না। এদিকে আমাদেরই জমিতে কে এসে