চাইনা কেবলমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ, যা জীবনপথে কখনও আমাদের সম্বল হয় না।
আমাদের দেশের প্রদর্শনী উন্মুক্ত হবার পর কান্না পায়, দেখতে পাবেন দেখবার মত যা কিছু আছে তার সবই ইউরোপীয় চালিত, কারখানায় প্রস্তুত। তবু প্রদর্শনী চাই। প্রদর্শনীতে গিয়ে, আমরা আমাদের দারিদ্র্য ও অভাব আরও স্পষ্ট ক’রে বুঝতে পার্ব। বাঙ্গালী যুবকের মধ্যে মনুষ্যত্বের উপকরণ আছে। এখন পরীক্ষা ফেল্ ক’রে জীবনটা বৃথা হল এ কথাটা মন থেকে একেবারে মুছে ফেল্তে হবে। আজ এই ভীষণ অন্নসমস্যার দিনে আমাদের যুবকগণ কি শুধু পাশ ফেল্ গণনা ক’রে জীবনের শ্রেষ্ঠতম ভাগ নষ্ট ক’রে ফেল্বেন! চাকরী হলনা বলে জগৎ অন্ধকার দেখবেন! এ মোহ ছাড়িয়ে উঠ্তেই হবে। আমাদের এখন একটা সবল জীবন্ত যুবক-সমাজের দরকার হয়েছে যাঁরা গতানুগতিকের গণ্ডী ভেঙে অনিশ্চিতের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে একটুও ভয় পাবেন না, পাশ ফেলের হিসাব না রেখে যাঁরা আপনার তেজে আপনি দীপ্ত হয়ে প্রচণ্ড কর্ম্ম-চেষ্টা প্রকট করে দেখাবেন। যাঁরা রাজ্য গঠন করেছেন—আকবর, শিবাজী, রণজিৎ সিংহ, হায়দার আলি, ক্লাইভ, ওয়ারেন হেষ্টিংস প্রভৃতি—তাঁদের কেহই স্কুল-কলেজে প’ড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি পান্নি। পরহিতব্রত কার্ণেগী ৯০ কোটি টাকা মূল্যে তাঁর লোহার কার্খানা বিক্রয় করেছিলেন; তিনি জীবন-সংগ্রামের প্রারম্ভে রাস্তায় খবরের কাগজ বেচ্তেন। লর্ড রবার্টস্ সামান্য সৈনিক থেকে নিজের চেষ্টায় ক্রমে ফিল্ডমার্শাল হয়েছিলেন। লর্ড কিচ্নারও তাই। তাতা, বিটলদাস ঠাকুরসে, ফজল ভাই করিম ভাই, লিপটন, এই কল্কাতার গোয়েনকা, ঝুনঝুন্ওয়ালা, হর্দিৎ রায় চামারয়া অথবা