পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৪ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী আয়রনসাইড বার্ক মায়ার এরা অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ উপাধির কোন ধারই ধারেননি। তাই বলে এদের অশিক্ষিতও বলা চলে না, এর সম্পূর্ণ শিক্ষিত ; এদের শিক্ষার মূলে স্বাবলম্বন। এর পাঠাগারে ব’সে বই পড়েন,—“নোট” পড়েন না। . আমাদেরও নিজের চেষ্টায় শিখতে হবে ও আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যে প্রবেশ করতে হবে, শিল্পের উন্নতির দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে, নইলে অস্বাস্থ্য ও অম্লাভাবে অচিরে বাঙালী জাতির অৰ্দ্ধেক ধ্বংস হয়ে যাবে। বর্ত্তমানে আমরা সামান্তভাবে কলকারখানা স্থাপন করতে ও নানাপ্রকার ব্যবসার কাজে প্রবৃত্ত হতে আয়ম্ভ করেছি। কিন্তু কোথাও এখনও রীতিমত সফলতার মুখ দেখতে পাইনি। এই কারণে অনেকে একটা আত্মঘাতী চীৎকার আরম্ভ করেছেন, বাঙ্গালীর দ্বারা কিছু হবে না। কিন্তু, আজ ইউরোপ যে ব্যবসায়-ক্ষেত্রে একাধিপত্য লাভ করেছে তা পাচশ বছর বা ততোধিক কালের বংশপরম্পরালব্ধ অভিজ্ঞতার ফল এই কথাটা মনে রাখলে আমরা কা’রও গঞ্জনাবাক্যে নিরুৎসাহ হয়ে পড়ব না। আর আপনাদের চেষ্টায় কল কারখানা স্থাপন করতে না পারলে ইংলণ্ড, আমেরিক প্রভৃতি স্থান হতে অনেক বাঙালী যুবক শিল্প ও বাণিজ্য সম্বন্ধে যে জ্ঞান নিয়ে দেশে ফিরে আসছেন সে জ্ঞান কর্ম্মক্ষেত্রের অভাবে সম্পূর্ণ নিরর্থক হবে। বিদেশ থেকে কোন একটা শিল্পে পারদর্শিতা লাভ ক’রে ফিরে এলেই ত হবে ন—তাকে কাজে লাগাবার জন্য ক্ষেত্র রচনা করতে হবে । অতএব বিশেষ অনুধাবন ক’রে দেখুন ; আজ আমাদের জীবন-মরণের সমস্ত উপস্থিত । চাকুরী চাকুরী করলে আর চলবে না ; এ পথ, ছেড়ে দিয়ে ভিন্নপথ, স্বাবলম্বনের আত্মনির্ভরতার পথ ধরতেই হবে। আমি বাঙলার তথা ভারতবর্ষের নানাস্থানে ভ্রমণ করেছি। দেশে যাতে বিজ্ঞানচর্চা হয় এবং