হবে।” হিন্দু আমরা—খুব আধ্যাত্মিক—সর্ব্বদাই ধর্ম্মের অনুশীলন কর্তে চাই। কিন্তু বাতাস খেয়ে ধর্ম্মপালন হয় কি? স্বাস্থ্য, প্রাণশক্তি, উৎসাহ, অধ্যবসায় অক্ষুণ্ণ রাখ্তে হলে যথেষ্ট আহার চাই। কিন্তু আমরা অভাবে, অস্বাস্থ্যে, রোগে—দিন দিন নিস্তেজ হয়ে পড়্ছি, কর্ম্মশক্তি তিল তিল ক’রে ক্ষয় পাচ্ছে, অন্নসমস্যার সঙ্গে অস্তিত্ব-সঙ্কট এগিয়ে আস্ছে। আজ তাই দেশের ছাত্রদের গলা ছেড়ে ডেকে বিমর্ষ ভাবে আমায় বল্তে হচ্ছে—“সাবধান!” বিপদ সন্নিকট! ছাত্র তোমরা, দেশের ভবিষ্যত আশাস্থল। তাই এই সকল অপ্রিয় সত্য তোমাদের কাছে খুব স্পষ্ট করেই বল্ছি। “ন ব্রূয়াৎ সত্যমপ্রিয়ম্”—ঠিক কথা নয়। রোগ ঢাক্লে চল্বে না। রোগ নির্ণয় ক’রে বিধিমত ঔষধের ব্যবস্থা কর্লে তবেই আমরা বাঁচ্তে পারব।
আপনারা সকলেই জানেন সেই পুরাতন হিন্দু কলেজের কথা—যেখানে বাঙালীর ছেলে সর্ব্বপ্রথম ইংরেজীচর্চ্চা আরম্ভ করে। তারপর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি থেকে বরাবর আজ পর্য্যন্ত আমরা চলেছি—একভাবে একই বাঁধাপথে। এই উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে চল্বার কালে এখন একবার উচ্চৈস্বরে বলে উঠ্তে হবে “থামো! থামো!” সকলকেই কি সরলরেখাক্রমে একই নির্দ্দিষ্ট পথে যেতে হবে? রেখামাত্র বিচ্যুতি হলে চলে না কি? বাস্তবিক একবার স্থিরচিত্তে বিরেচনা ক’রে দেখ্তে হবে ডিগ্রী ও চাকুরীর মোহে আমরা যে পথে ছুটেছি তার শেষ-সীমায় সফলতার আলোক প্রস্ফুট হয়ে আছে অথবা ধিরাট ব্যর্থতার অন্ধকূপ আমাদের ডুবিয়ে দেবার উদ্দেশে প্রচ্ছন্নভাবে অপেক্ষা কর্ছে!
বর্ত্তমান শিক্ষাপ্রণালী ও জীবিকার্জ্জন—এই দুয়ের মধ্যে এখন কিরূপ সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে তার আলোচনা কর্বার আগে একটা কথা আমি ব’লে রাখি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের “ছাপের” মূল্য যাই হোক্ না কেন,