পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী হবে।” হিন্দু আমরা—খুব আধ্যাত্মিক—সর্ব্বদাই ধর্শের অনুশীলন করতে চাই । কিন্তু বাতাস খেয়ে ধর্ম্মপালন হয় কি ? স্বাস্থ্য, প্রাণশক্তি, উৎসাহ, অধ্যবসায় অক্ষুন্ন রাখতে হলে যথেষ্ট আহার চাই। কিন্তু .আমরা অভাবে, অস্বাস্থ্যে, রোগে—দিন দিন নিস্তেজ হয়ে পড়ছি, কর্ম্মশক্তি তিল তিল ক’রে ক্ষয় পাচ্ছে, অল্পসমস্যার সঙ্গে অস্তিত্ব-সঙ্কট এগিয়ে আসছে। আজ তাই দেশের ছাত্রদের গলা ছেড়ে ডেকে বিমর্ষ ভাবে আমায়'বলতে হচ্ছে—“সাবধান !” বিপদ সন্নিকট ! ছাত্র তোমরা, দেশের ভবিষ্ঠত আশাস্থল। তাই এই সকল অপ্রিয় সত্য তোমাদের কাছে খুব স্পষ্ট করেই বলছি । “ন ক্রয়াৎ সত্যমপ্রিয়ম"— ঠিক কথা নয়। রোগ ঢাকলে চলবে না। রোগ নির্ণয় করে বিধিমত ঔষধের ব্যবস্থা করলে তবেই আমরা বাঁচতে পারব। আপনারা সকলেই জানেন সেই পুরাতন হিন্দু কলেজের কথা— যেখানে বাঙালীর ছেলে সর্ব্বপ্রথম ইংরেজীচর্চা আরম্ভ করে। তারপর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি থেকে বরাবর আজ পর্য্যস্ত আমর চলেছি—একভাবে একই বাধাপথে । এই উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটে চলবার Yালে এখন একবার উচ্চৈস্বরে বলে উঠতে হবে "থামো ! থামে। " সকলকেই কি সরলরেখাক্রমে একই নিদিষ্ট পথে যেতে হবে ? রেখামাত্র বিচূতি হলে চলে না কি ? বাস্তবিক একবার স্থিরচিত্তে বিরেচনা করে দেখতে হরে ডিগ্রী ও চাকুরীর মোহে আমরা যে পথে চুটেছি তার শেষ-সীমায় সফলতার আলোক প্রস্ফুট হয়ে আছে অথবা মিরাট ব্যর্থতার অন্ধকূপ আমাদের ডুবিয়ে দেয়ার উদ্বেপ্তে প্রচ্ছন্নভাবে অপেক্ষা করছে ! বর্ত্তমান শিক্ষাপ্রণালী ও জীবিকার্জন—এই দুয়ের মধ্যে এখন কিরূপ সম্পর্ক গাড়িয়েছে তার আলোচনা করবার আগে একটা কথা আমি বলে রাখি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের “ছাপের মূল্য যাই হোক না কেন,