পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অল্পসমস্যা « ዓ ভার বিরুদ্ধে আমি যত কথাই বলি না কেন, প্রকৃত উচ্চশিক্ষা লাভ ক’রে চিত্তোৎকর্ষ সাধন করা চাই । লেখাপড় চাই, গগুমুর্থ হলে কিছুতেই চলবে না। কিন্তু অকর্ম্মণ্য ডিগ্রীধারী হয়ে কোন লাভও নেই, গৌরবও নেই। আমাদের পোড়া কপাল যে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের . “ছাপ”কে অল্পসংস্থানের একমাত্র উপায়—“নান্তদস্তি" ব’লে জ্ঞান করচি . এই ধারণাটা ভূতের মত আমাদের ঘাড়ে চেপে আছে— কিছুতেই নামতে চায় না। এই ধরুন বি-এল পাশ করে ওকালতি করা i: ছেলেদের ও-একটা বাধা গৎ হয়ে দাড়িয়েছে। যেখানে যাই—জেলা মহকুমা, জজ বা মাজিষ্টরের সকল রকমের আদালত-সর জায়গাতেই উকিলের সংখ্যা মক্কেলের দশগুণ, কোথাও বা বিশগুণ হয়ে দাড়িয়েছে। কাজেই উকীল ৷ হলেও পয়সা রোজগার হচ্ছে না। কিন্তু তবুও বি-এ পাশ করেই বাঙালী যুবক আইন পড়তে ছটুচেন । পালে পালে, দলে দলে, সকালে বিকালে আইন পড়া চলেছে। “পাশটা ক’রে রাখা যাক”—আইন পড়বার এই একমাত্র নজীর আছে। কিন্তু যেখানে প্রয়োজনের চেয়ে তুয়োজনের আড়ম্বরটা অধিক, সেখানে আয়োজন যে অনেক পরিমাণে ব্যর্থ হবে এ ত স্বতঃসিদ্ধ কথা । “সর্ব্বমত্যন্ত গৰ্হিতম্ ” আইন পড়ে না—আর দরকার নেই—এমন কথা বলি না । কিন্তু এই কথা বলি– যার কার্টুতি নেই, আদর নেই, গুমোর নেই, যা গুদামজাত হয়ে পড়ে থেকে পদে," সে জিনিষের আবাদ যেমন বন্ধ রাখা , ভাল, আইন পড়াও সেই যুক্তিরই বলে স্থগিত রাধা বা বহুল. পরিমাণে কমিয়ে দেওয়া দরকার নয় কি ? আইনজ্ঞেরা আমার শক্র এমন উৎকট অদ্ভূত কথা আমি বলিনি। বাঙালার ব্যবহারজীবিদের । নিকট আমাদের ঋণ অপরিশোধ্য। মনোমোহন ঘোষ, লালমোহন