ঘোষ, ডবলিউ সি ব্যানার্জ্জি, আনন্দমোহন বসু প্রভৃতি রাজনৈতিক নেতৃগণ, কলিকাতা সায়ান্স কলেজের প্রাণস্বরূপ স্যর তারকনাথ, ও স্যর রাসবিহারী এবং মনস্বী জষ্টিস্ চৌধুরী, স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, ব্যোমকেশ চক্রবর্ত্তী, ও সি, আর, দাস প্রভৃতি ব্যবহারজীবিগণ বাঙলার সকল শুভকার্য্যে অগ্রণীস্বরূপ। রাজনৈতিক আন্দোলনে বিজ্ঞ ব্যবহারাজীবির স্থান কোথায়—মহামতি বার্ক তা অতি সুনিশ্চিতরূপে নির্দ্দেশ ক’রে গেছেন। কিন্তু ছোট বড় সকল প্রকার আদালতের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়িয়েও যাঁরা উপোষ ক’রে থাক্তে বাধ্য হন, বার-লাইব্রেরীর চাঁদার পয়সাটা যাঁরা দিয়ে উঠতে পারেন না এবং স্থল বিশেষে এক ছিলিম তামাক পেলে যাঁরা কয়েক পাতা নকল ক’রে দিতে পারেন, এমন সব উকীল কি ওকালতী ব্যাপারটার মর্য্যাদাহানি কর্ছেন না? বল্ছিলাম উকীল তৈরী করবার কলটা যদি বেশ কয়েক বৎসর বন্ধ থাকে তবে গোবেচারী উপোষকারীর দল বেঁচে যেতে পারে। প্রয়োজন ও আয়োজনের মধ্যে অসামঞ্জস্য কত বেশী হয়ে পড়ছে বিবেচনা ক’রে দেখা উচিত। তা হলে আর দফে দফে উকীল তৈরী ক’রে তাদের দফা রফা কর্বার প্রবৃত্তি হবে না।
মধ্যবিত্ত বাঙালীর সন্তান ডিগ্রী পেলেই জীবিকা সংস্থান কর্তে পার্বে আর ডিগ্রীর অভাবে চারিদিক অন্ধকার দেখবে এটা কত বড় ভুল আজ তা নিঃসংশয়ে বুঝে নিতে হবে। বৎসর বৎসর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কল্মা নিয়ে গ্রাজুয়েটের দল জয়পতাকা উড়িয়ে বেড়িয়ে আস্চেন। তাঁদের রাজার-দর আজকাল কত? একটা কর্ম্মখালির বিজ্ঞাপন দেখলে এক ঝুড়ি দরখাস্ত পড়ে—তারপর তার মধ্যে একজন মনোনীত হন। কাজেই বি, এ ৪০৲ টাকা আর এম-এ ৭০৲ টাকা পেলেও ঐ মাহিয়ানার চাক্রী পাবার সম্ভাবনা গ্রাজুয়েট-সাধারণের পক্ষে কত অল্প