পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
আজকের আমেরিকা

অনেকেরই দৃষ্টি তাদের উপর পড়ল। অনেকে তাদের ভাল উপদেশ দিল, কেউ বা ভয়ও দেখাল। কিন্তু কিছুতেই যখন কিছু হ’ল না তখন উপযুক্ত ব্যবস্থার ফলে এখন তারা সে কুঅভ্যাস পরিত্যাগ করেছে। আপনিও যদি পুনরায় হাতে খান তবে আপনার প্রতিও সেরূপ কোন ব্যবস্থা হতে পারে।”

 বৃটিশ কলোনীতে উৎশৃংখল ভাবে চলাকেই ডিমক্রেসী বলে। উৎশৃংখলতার প্রশ্রয় সর্বত্র দেওয়া চলে না। ভারতে যেমন করে ধর্মের নামে উৎশৃংখলতার প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে অন্যত্র তেমন কোথাও দেওয়া হয় না। প্রথম প্রথম যারা আমেরিকাতে গিয়েছিল তারা পাজামা পরে লম্বা সার্ট গায়ে দিয়ে পথে যেত। শ্রীহট্টের লোক জাল বুনে নদী নালা হতে মাছ ধরত। শিখরা পাগড়ী বেঁধে থিয়েটারে যেত। এসব অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকবার জন্য সর্বসাধারণ যখন নিষেধ করত, তখন সেই পুরাতন ধর্মপ্রীতি এবং বর্বরোচিত স্বদেশপ্রেম জেগে উঠত। ফলে ভারতবাসীকে আমেরিকানরা নাগরীকত্ব আর দিল না। যাদের দিয়েছিল তাও কেড়ে নিল। কোনও অন্যায় কাজ করে তাকে স্বদেশীকতার আবরণ দিয়ে, সেই অন্যায়কে চালাবার চেষ্টাকেই বর্বরোচিত স্বদেশপ্রেম বলে। এরূপ হীন কাজ যাতে আর না হয় সেজন্য অনেকগুলি ভারতবাসী আপ্রাণ চেষ্টা করছে দেখে আনন্দিত হয়েছিলাম।

 “আমি মোকদ্দমা করব, আমি পাজামা পরব, আমি পাগড়ী বাঁধব তাতে তোমার কি? যদি কোন অনিষ্ট হয় তবে আমার হবে।” এই রকমের কথা যারা বলে এবং এরকমের কথা যারা মেনে চলে তারা সমাজে বাস করার উপযুক্ত নয়। যে কয়জন ভারতবাসী এরকমের কথা বলে নিজের মতকে সমর্থন করেছিলেন; শুনেছি তাদের উপযুক্ত