যায় কোথায়? যাদের আত্মসম্মান বোধ নাই, তারা মোটেই বুঝতে পারে না―অনুনয় বিনয় মানসিক অধোগতির একটা প্রত্যক্ষ ফল। আমি খাঁটি মানুষের সংগে থেকে সে তথ্য বুঝতে পেরেছিলাম।
দক্ষিণ আফ্রিকায় মহাত্মা গান্ধীর অবস্থিতির সময়ই বুয়ার সরকার কংগ্রেসীদলকে স্বীকার করেছিলেন। কলোনিয়্যাল-বর্ণ এবং ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশনকে এখনও স্বীকার করেছেন বলে মনে হয় না। স্বীকার না করার নানা কারণও আছে। যত লোক কালোনিয়্যাল-বর্ণ, তারা হল ইউরোপীয়ান মেজাজের। ইউরোপীয়ান ধরণে খাওয়া-পরা ত আছেই, উপরন্তু এদের মেজাজটা নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকায় কংগ্রেস এবং বুয়ার সরকার একটু বিপদে পড়েছেন। এখন ইউরোপীয়ান মেজাজ কাকে বলে তা বুঝিয়ে বলি। আমাদের দেশে লণ্ডনের গাওয়ার স্ট্রীট ফেরতা বাবুদের দেখে আমরা বলি তারা ইউরোপীয়ান মেজাজী হয়েছেন। আসলে কিন্তু তা নয়। হ্যাট কোট পরলে এবং মদ খেলেই যদি ইউরোপীয়ান মেজাজ হত, তবে গাধাও সিংহ হয়ে যেত। অনেক স্কচ্-ম্যান্ পর্যন্ত Inferiority of complexion হতে বাদ পড়ে না; কিন্তু তারাও আমাদের দেশে বড়লাট হয়। Inferiority of complexion যদি দূর করতে হয়, তবে সকল সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হয়, মরতে হয় তাও বরণ করে নিতে হয়। মাথা নত না করাই হল ইউরোপীয় মেজাজ। দক্ষিণ আফ্রিকায় কলোনিয়াল-বর্ণরা সে দলের লোক। তারা ভাল করেই জেনেছে ভারতীয় জাতিভেদ ভারতের কত অনিষ্ট করেছে, তাই তারা জাতিভেদ মোটেই মানে না। তারপর তারা এটাও বুঝতে পেরেছে কালার বার মানুষকে কত খাট করে ফেলে। তাই আজ তারা মানুষ বলে পরিচয় দেয় এবং মানুষের প্রাপ্য সম্মান তারা আজ যদি না পায় একদিন তারা তা আদায় করবেই। তারা তাদের দাবী মিটাবার জন্য