আমরা ভারতবাসী, আমরা ইচ্ছা করেই বলব, আমেরিকার গ্রামও একদিন পুরাতন হবে, ইউরোপের গ্রামের মত হবে। আমি বলছি তা হবে না। আমেরিকার গ্রাম চির নতুন থাকবে। হয়ত বর্তমান অবস্থা হতে আমেরিকার গ্রাম আরও উন্নত হবে, কারণ আমেরিকাতে এখনও ধর্মের বদ্খেয়ালী নাই। ভবিষ্যতে ‘অধর্মরূপী ধর্ম’ পৃথিবীর উপর তাণ্ডব নৃত্য করতে সক্ষম হবে না।
আমেরিকার গ্রামে ক্রমেই লোক সংখ্যা বাড়ছে। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটি গ্রাম শহরে পরিণত হবে। শহরের লোক আনন্দে দিন কাটাবে। ইউরোপের ধরনেই আমেরিকার গ্রাম গড়ে উঠেছে। অ্যামেরিকার গ্রাম কিন্তু ইউরোপের গ্রামের ছাপ প্রায় মুছতে বসেছে। ইউরোপের প্রত্যেকটি গ্রামের ঠিক মধ্যস্থলে একটি চার্চ থাকে। চার্চকে কেন্দ্র করে গ্রামের গঠন হয়। আমেরিকার গ্রামে সেরূপ কিছুই নাই। গ্রামের মধ্যস্থলে বিদ্যালয়, সিনেমা, বিচারালয়, দোকান, বাজার এসব থাকে বটে কিন্তু তাতে গ্রামের সৌন্দয্য মোটেই লোপ হয় না, বরং বাড়ে। গ্রামের পাশে গোলাবাড়ি থাকে না, গৃহপালিত জীব দেখতে পাওয়া যায় না। গ্রাম দেখলেই আনন্দ হয়। আমার আনন্দ হত গ্রোসারী দোকান দেখে। দই, দুধ, ক্রিম, ঘনদুধ, নানারূপ মিঠাই, শাক, সবজী, এবং নানারূপ ফল মূল স্তরে স্তরে সজ্জিত দেখে। এসব দেখে সুখী হতাম কিন্তু ভোগ করার উপায় ছিল না।
প্রত্যেক গ্রামের একটু দূরেই পাইকারী বাজার। পাইকারী বাজারে শুধু দোকানীরাই যায়। দোকানীরা পাইকারী বাজার হতে মাছ, মাংস, সবজী, দুধ, মাখন ইত্যাদি কিনে নিকটস্থ ফেক্টরীতে গিয়ে “ড্রেস” করে। “ড্রেস” করার বাংলা শব্দ আজ পর্য্যন্ত তৈরী হয়নি। হবার কথাও নয়। সেজন্য “ড্রেস” শব্দটি ব্যবহার করলাম। যেদিন আমাদের