(Scholi Boys) আমার মমতা ত্যাগ করতে পারেনি। তারা ডকের উপর দাঁড়িয়ে নানারূপ শ্লোগান বলতে শুরু করে দিয়েছিল। তিনখানা সংবাদপত্রের প্রতিনিধি একসংগে এসে আমার বিদায় বাণী ও মন্তব্য শুনতে চাইলেন। আমি তাদের বল্লাম, “দক্ষিণ আফ্রিকার জল এবং ফলের তুলনা অন্য কোন দেশের জলের এবং ফলের সংগে হয় না। জোহান্সবার্গের স্বর্ণ-খনি এবং কিম্বালির হীরার খনি জগৎ বিখ্যাত; কিন্তু ঐ ‘কালার বারটা’ আমার মোটেই সহ্য হয়নি। ‘কালার বারের’ দুর্গন্ধ নাক হতে ছাড়াবার জন্য লণ্ডনে গিয়ে অনেক দিন থাকতে হবে এবং যে পর্যন্ত কালার বারের দুর্গন্ধ নাক হতে না যায় সে পর্যন্ত লণ্ডন পরিত্যাগ করব না।
“আমি জানতাম না কালার বার কেমন হয়। এখন জনেছি এবং বুঝেছি কালার বার কাকে বলে। এতে আমার যদিও ক্ষতি হয়েছে অনেক, কিন্তু শিক্ষা হয়েছে ক্ষতির চেয়েও বেশী। আমি জগতে এসেছি ছাত্র হয়ে, আজীবন ছাত্রই থাকব তাই যতদূর পারি শুধু শিখে নিতেই চাই।
“জগতের লোক, বিশেষ করে যারা ধর্ম নিয়ে চর্চা করে, তারা বলে পূর্বে জগৎ ভাল ছিল এখন খারাপ হয়েছে কিন্তু তারা বুঝে না কিংবা বুঝতে চেষ্টাও করে না জগৎ যেখানে ছিল সেখানেই রয়েছে। জগতের উন্নতির গতি বুঝবার উপায় আছে এবং উন্নতি যাতে হয় তার চেষ্টাও করা দরকার। নিরপেক্ষ মানুষেরা এবং স্বাধীনচেতা লোকেরা তাই বলবে। ধর্মের ঘাড়ে সকল দায় চাপিয়ে দিয়ে চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। ধর্মগুলি জগতকে উন্নতির পথে অনেক টেনেছিল, কিন্তু ধর্মের তেজ ক্ষণস্থায়ী। দক্ষিণ আফ্রিকার অত্যাচারিত কালো, ব্রাউন এবং বাদামী একত্র হও, যাতে মানুষ বলে পরিচয় দিতে পার। ধর্ম তোমাদের সাহায্য