করবে না, করতেও পারে না, উপরন্তু তোমাদের মাঝে ভাংগন এনে দিবে। ইউরোপীয়ানরা নিজেদের ‘আফ্রিকানেরার’ বলে পরিচয় দেয়, তোমরা নিজেদের আফ্রিকান্ বলে পরিচয় দাও দেখবে স্বাধীনচেতা মানুষ, পরাধীন ভারতবাসী, মরণ-বিজয়ী চীন তাতে যোগ দিবে। মুষ্টিমেয় বুয়ার তোমাদের পদদলিত করে রাখতে পারে না, পারবেও না।” এই বলে আমি সাংবাদিকদের কাছ হতে বিদায় নিয়েছিলাম।
এদিকে ইমিগ্রেসন বিভাগ আমাকে খোঁজ করবার জন্য অন্ততঃ পাঁচটা লোক পাঠিয়েছে। যে-ই আমার কাছে আসে সে-ই দাঁড়িয়ে আমার কথা শুনে, ফিরে আর যায় না। তারা সকলেই ‘কালার্ড ম্যান'। তারপর ইমিগ্রেশন অফিসার নিজে এসে একটু দাঁড়িয়ে ভদ্রভাবে আমাকে বললেন, “মহাশয়, দয়া করে পাঁচ মিনিটের জন্য এদিকে আসুন।” ইমিগ্রেসন বিভাগে ইউরোপীয়ান অফিসার বোধহয় দু’তিন জন থাকে। একজন বললেন, “মহাশয়, দয়া করে আপনার আংগুলের টিপ দিতে হবে। আমি বল্লাম, “অন্যান্য ইউরোপীয়ানরা তো আংগুলের টিপ দেয় না। আমি তা দিব কেন?”
“আপনি যে ভারতবাসী সেকথা আপনার স্মরণ রাখা দরকার। ভারতবাসীর দস্তখতে হয় না, অনেকে দস্তখত বদলিয়ে ফেলে, কিন্তু আংগুলের টিপ বদ্লাতে পারে না।” কোন কথা না বলে আংগুলের টিপ দিয়ে চলে এলাম।
যে সকল স্কোলী বয় আমাকে বিদায় দিতে এসে শ্লোগাণ ঝাড়ছিল তাদের চিৎকার জাল চার্লী চ্যাপলিন্ এসে থামিয়ে দিল। আসল চার্লী চ্যাপলিন্ থাকেন হলিউডের এক কাণা গলিতে তা দেখেছি এবং সে সম্বন্ধে নানারূপ গল্পও শুনেছি। অবশ্য এসব বাজে কথা এখানে