পাড়াগেঁয়ে নিগ্রো বলে ভাবছিল, এবং বার বার আমার দিকে তাকাছিল। একখানা প্রভাতী সংবাদপত্রও আমার হাতে ছিল এবং মাঝে মাঝে সে দিকে চাইছিলাম। আমার এরূপ বেয়াদবি অনেকেরই বোধ হয় সহ্য হচ্ছিল না, তাই ওয়েটার একসময় আমার কাছে এসে বলল, “মশাই, এভাবে দরজার গোড়ায় অনেকক্ষণ বসলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়।”
“কি রকম?”
“আজ্ঞে তাই।”
“এঁরা যে বসে আছেন, এঁদেরও বলুন।”
“আগ্যে এঁরা আর আপনি, মানে―
“বুঝেছি; ওরা শ্বেতকায় আর আমি কৃষ্ণকায়; এই তো?”
পয়সা চুকিয়ে দিয়ে বললাম, “একেই বলে আমেরিকান ডিমোক্র্যাসি। এরই এত বড়াই আপনারা করে থাকেন। অন্যায় হয়েছে এদেশে আসা, দূর থেকেই লিংকনকে স্মরণ করা উচিত ছিল কাছে এলে স্বপ্নভংগ হয়।” পরে বললাম, “আমি এদেশের লোক নই, আমি হিন্দু।” ওয়েটার তৎক্ষণাৎ বললে, “বসুন, বসুন, তবে বসুন, আমাদের ভুল হয়েছে।” আমি বললাম, “পুঁজিবাদী আমেরিকান আপনারা, আপনাদের ধন্যবাদ, নিগ্রোদের হরিজন করে রাখাই হল পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের প্রথম সূত্র।”
লোকটি আরও কি বলতে যাচ্ছিল, ইতিমধ্যে অনেকগুলি লোক এসে আমাকে ঘিরে দাঁড়াল। একটি লোক আমাকে বললে, “You talk against Imperialism. Why not against British?
বললাম, “বিশেষ করে কোনও জাতের বিরুদ্ধে ত আর আমি
১২