পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজকের আমেরিকা
১৮৭

দেবার অধিকার কোনও ব্যক্তিবিশেষের নাই। এই ধরনের আরও এমন কতকগুলি আইন আছে, যা দেখলে মনে হয় সে সব নিয়ম রুশিয়া থেকে ধার করে আনা হয়েছে। এজন্যই ফোর্ডের কারখানায় ধর্মঘট হয় না এবং মজুরদের দেখলেই মনে হয় তাদের মনে সুখ শান্তি আছে।

 যুগের বাতাস এহেন কারখানাতেও বইছে দেখতে পেলাম। এরই মাঝে মজুরদের মাঝে রব উঠেছে মিঃ ফোর্ড নিজে থেকে আরম্ভ করে অন্যান্য যারা কারখানার মুনাফা থেকে বৎসরের শেষে মোটা টাকা বার করে নেন, তা বন্ধ করতে হবে, মিঃ ফোর্ডকেও নূতন মতে নূতন পথে চলতে হবে।

 ফোর্ডের কারখানাতে আগে অনেক হিন্দু কাজ করতেন। বর্তমানে ইমিগ্রেসন আইন মতে যাদের সেকেণ্ড পেপার (second paper) নাই অর্থাৎ যারা আমেরিকার বাসিন্দা নয়, তাদের আর নূতন করে কাজ দেওয়া হয় না, উপরন্তু যারা পূর্বে কাজ করত তাদেরও কাজ থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। এখন ফোর্ডের কারখানায় আর কোনও হিন্দু কাজ করে না।

 ভারতবাসীকে কাজ হতে তাড়িয়ে দিবার কারণ দেখান হয়েছে ভারতবাসী বিদেশী। বিদেশের লোক এসে যদি আমেরিকার লোকের কাজ কেড়ে নেয় তবে বড়ই পরিতাপের বিষয়। আমাদের দেশেও বলা হয় উড়ে এবং হিন্দুস্থানীরা বাংগালীর কাজ কেড়ে নিচ্ছে। কি সুন্দর কথা। যেকথা বলে আমেরিকার ধনীরা তাদের স্বদেশবাসী মজুরদের ক্ষেপিয়ে অপরের সর্বনাশ করছে সেই কথা আমাদের দেশের অর্থতত্ত্ববিদরাও উঁচু গলায় চিৎকার করে প্রতিধ্বনি করছেন মাত্র। বাস্তবিক পক্ষে মজুর কখনও মজুরের শত্রু হতে পারে না। ধনীরা