স্নানের বেশ ভাল বন্দোবস্তই ছিল। স্নানাগারের দিকে যাবার সময় একদল লোকের সংগে দেখা হল। তাদের ভাবগতি দেখে মনে হল, আমার ওয়াই. এম. সি. এ-তে থাকাটা যেন মস্ত অপরাধ হয়ে গেছে। কোন রকমে চোখ বুজে, স্নান করে চলে এলাম। পরে রেস্তোরাঁয় গিয়ে বসেই গরম ‘হট কেক’ আর এক কাপ কাফির অর্ডার দিলাম। কিন্তু কিছুই যেন আসতে চায় না। অগত্যা বয়কে ডেকে বললাম, “আমাকে নিগ্রো ভাববেন না, আমি একজন হিন্দু, আপনার জাত যাবে না।” লোকটি অনেকক্ষণ আমার দিকে চেয়ে কি ভাবল, তারপর খাবার এনে দিল।
আহারের পর তিনখানা সংবাদপত্র কিনে ওয়াই, এম. সি. এ-তে ফিরবার পথে এক ভদ্রলোকের সংগে মুখোমুখী দেখা। পাশ কাটিয়ে পথ ধরে চলেছি, হঠাৎ যেন মনে হল লোকটি আমার পিছন নিয়েছে। তাড়াতাড়ি লিফ্টের কাছে এসে উপরে চলে গেলাম, লোকটিও সংগে সংগে এল। লিফ্টে সে একটা কথাও আমার সংগে বলল না। ঘরের কাছে গিয়ে লোকটি বলল, “এই ঘরের নম্বরটা অপয়া, তাই এ ঘরে কেউ একা থাকতে সাহস করে না।” তার কথার কোন উত্তর না দিয়ে ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দিলাম। ভিতর থেকে কান পেতে শুনতে পেলাম লোকটি অন্য একজনের সংগে কথা বলে চলে গেল। আমেরিকার পুঁজিবাদীদের উস্কানীতে অনেক দেশের কুৎসা রটিয়ে অনেক বই রচিত হয়েছে, তার পরিচয় আমরা বেশ পেয়েছি। কিন্তু ওয়াই. এম. সি. এ-তে এসে দুশ্চরিত্র লোকদের দুর্নীতির যে চরম দৃষ্টান্ত দেখেছি, আমাদের দেশের লোক বোধ হয় তা ধারণাই করতে পারবে না।
একটার সময় ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেই ঠিক করলাম